গুয়াহাটি, ২৬ অক্টোবর (হি.স.) : অসমে কোনও সরকারি আধিকারিক বা কর্মচারী এখন থেকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না, জারি হয়েছে কড়া নির্দেশিকা।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, অসম সরকারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব নীরজ ভার্মা এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছেন, এখন থেকে কোনও সরকারি আধিকারিক কিংবা কর্মচারী, যাঁর একজন স্ত্রী বর্তমান, তিনি সরকারের অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করতে পারবেন না।
বিজ্ঞপ্তিটি কেবল পুরুষদের জন্য নয়, মহিলাদের জন্যও প্রযোজ্য। এতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও মহিলা সরকারি আধিকারিক বা কর্মচারীও এমন কোনও ব্যক্তিকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারবেন না যে ব্যক্তির স্ত্রী রয়েছেন।
পুরুষ ও মহিলা, উভয়কে সতর্ক করে বলা হয়েছে, যদি দ্বিতীয় বিবাহ কেউ করেন, তা-হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রযোজ্য হবে কড়া আইন। অর্থাৎ, এই বিধি লঙ্ঘনকারীকে মোটা অঙ্কের জরিমানা দেওয়ার পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্তের সম্মুখীন হতে হবে। তাছাড়া, ডিসিপ্লিনারি অথরিটি আসাম সার্ভিসেস (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৬৪-এর অধীনে অবিলম্বে বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু করতে পারে। যে সমস্ত সরকারি কর্মচারী বিধি ২৬ লঙ্ঘন করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক অবসর সহ বড় দণ্ডারোপ হবে। আসাম সিভিল সার্ভিসেস (কন্ডাক্ট) রুলস ১৯৬৫ অনুসারে, একজন সরকারি কর্মচারীর এ ধরনের কার্যে সমাজের ওপর চরম অসদাচরণের ব্যাপক প্রভাব ফেলে বলে এখন থেকে বিধি লঙ্ঘনকারীকে কড়া আইনের মোকাবিলা করতে হবে।
অতিরিক্ত মুখ্যসচিব নীরজ ভার্মার নেটিশটি বড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল রিজিওন (বিটিআর), কারবি আংলং এবং ডিমা হাসাওয়ের উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদকেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।