গুয়াহাটি, ৭ অক্টোবর (হি.স.) : তিনদিনের ধারা বর্ষণের প্রভাবে নগর সভ্যতা হারিয়েছে গুয়াহাটি। বহু এলাকা জলবন্দি। ব্যস্ত নাগরিক জীবনের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে জোর আঘাত হেনেছে বৃহস্পতিবার থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাত। এককথায় জমা জলের তাণ্ডবে নাকাল মহানগরের নাগরিক জীবন। রাস্তাঘাটে সীমিত গাড়িঘোড়া, হাতেগোনা লোকজন, সিটিবাসও প্রায় ফাঁকা, অফিস-কাছারিতে নেই অন্যান্যদিনের মতো হইহুল্লোড়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বানভাসি এলাকা থেকে শীঘ্র জল নিষ্কাষণের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট দফতরের পাশাপাশি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
গুয়াহাটি মহানগর এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি অঞ্চল কৃত্রিম বন্যার জলে প্লাবিত। রাজপথ-তো বটেই, অসংখ্য বসতবাড়ির ভিতরে কোমর জল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিভাগীয় মন্ত্রী ও আধিকারিক এবং প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা। সভায় বন্যার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্ৰী সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের কাছ থেকে বৃষ্টিপাতের সমস্ত তথ্য, স্যাটেলাইট চিত্র এবং অন্যান্য কারণ শুনেন।
সব শুনে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব বন্যা প্রভাবিত এলাকাগুলি থেকে দ্রুত জল নিষ্কাষণ করে নাগরিকদের স্বস্তি দিতে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
জরুরি সভা শেষে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ‘এক্স’ হ্যান্ডলে তাঁর সরকারের সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেছেন, ‘আমরা শহরের চারপাশে নদী প্রণালীকে শক্তিশালী করব, যা অল্প সময়ের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাব প্রশমিত করতে সাহায্য করবে।’
গুয়াহাটির চাঁদমারি, নারেঙ্গি, নুনমাটি, বামুনিমৈদাম, অনিলনগর, নবীননগর, রাজগড়ের মতো বিস্তীর্ণ এলাকার রাজপথ সাগরের রূপ ধারণ করেছে। জল থইথই সর্বত্র। নবীননগর, অনিলনগরের বেশিরভাগ বসতবাড়ি কৃত্রিম বন্যার কবলে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাজারহাটও প্রায় ফাঁকা।