দুর্গাপুর, ৭ অক্টোবর (হি. স.) ফের জাল লটারি টিকিট বিক্রির রমরমা কারবার। জামুড়িয়া, উখড়ার পর এবার অন্ডালের কাজোড়া সরিষাডাঙ্গা এলাকায় জল লটারি টিকিট সহ ধরা পড়ল এক বিক্রেতা। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর জাল টিকিট ও নগদ টাকা। শনিবার ধৃতকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের নাম মাধব মন্ডল। শুক্রবার কাজোড়া মোড় সংলগ্ন সরিষাডাঙ্গা সব পোস্ট অফিস এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের কাছ থেকে ১০০০ জাল লটারি টিকিট ও ২৩৫০ টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকবছর ধরে রাজ্যজুড়ে ডিয়ারি লটারি বিক্রি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। অভিযোগ, লটারি বিক্রির নামে সাধারন গরিব মানুষকে সর্বসান্ত করছে। আর এই টিকিট বিক্রি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যের লটারি টিকিট বিক্রি বড় ধরনের কেলেঙ্কারী। এবার জাল লটারি টিকিটের রমরমা কারবার হদিশ উঠে এল শিল্পাঞ্চলে। যার কবলে পড়ে দৈনিক হাজার হাজার টাকা খোয়াচ্ছে সাধারন দিনমজুর পরিবার। গত কয়েকমাস ধরে তাবত আসানসোল-দুর্গাপুরে এই জাল লটারি টিকিটের রমরমা কারবার শুরু হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উখড়ার বাজপায়ী মোড় ও বাজপায়ী মিল সংলগ্ন দুটি লটারি টিকিটের দোকানে হানা দেয় পুলিশ। জাল লটারি টিকিট বিক্রি করার অভিযোগে শেখ জামালউদ্দিন ও উত্তম কুন্ডু নামে দু’জন গ্রেফতার করে পুলিশ। দোকান থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর জাল লটারি টিকিট। তার কয়েকদিন আগে গত ৫ জানুয়ারি জামুড়িয়ায় জাল টিকিট বিক্রির অভিযোগে ১০ জন গ্রেফতার হয়। তারপর রানীগঞ্জ, কুলটি, আসানসোল থেকেও কয়েকজন গ্রেফতার হয়।তারপর গত ২১ ফেব্রুয়ারি তারকনাথ দিয়াশী নামে একজনকে লাউদোহার নতুনডাঙা এলাকা থেকে জাল টিকিট সহ গ্রেফতার করে।
তারপর এদিনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, এই জাল লটারি টিকিটের উৎপত্তি কোথায়? কোথা থেকে আসছে এসব টিকিট। কে বা কারা জড়িত? জানা গেছে, ঝাড়খন্ড থেকে কোন অসাধু চক্রের মাধ্যমে এধরনের জাল টিকিট এরাজ্যে আসছে। সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল-দুর্গাপুর, অন্ডাল, জামুড়িয়া এলাকায় রমরমা কারবার শুরু করেছে ওই চক্র। অভিযোগ টিকিটের পুরস্কার উঠলে তার কোন মূল্য পাওয়া যায় না। শনিবার ধৃতকে দুর্গাপুর মহাকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে,” জাল লাটারি টিকিটের সঙ্গে নগদ ২৩৫০ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মূল চক্রের হদিশ জানতে ধৃতকে হেফাজতে নেওয়া হবে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”