কলকাতা, ৫ অক্টোবর (হি.স.) : রাজ্যপাল বোস বৃহস্পতিবার সকালেই দিল্লি থেকে সোজা উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন। সেখানে বিপর্যস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেছেন। তারপর সন্ধেয় আবার বাগডোগরা থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে অভিষেকের নেতৃত্বে ‘রাজভবন অভিযানে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ফাঁকা রাজভবনে রাজ্যপালের দেখা না পেয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, রাজ্যপাল কলকাতায় ফিরে দেখা না করা পর্যন্ত রাজভবনের সামনেই বসে থাকবেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যপাল যতক্ষণ না আমাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করবে, আমরা এই ধরনামঞ্চ ছেড়ে যাব না। আমরা এখানেই থাকব। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই ধরনামঞ্চ চালাব। আমি এখানেই রাত কাটাব, এখানেই বসে থাকব। বিজেপির প্রতিনিধিদলকে আপনি একটা ফোনেই সাক্ষাতের জন্য সময় দিতে পারেন। আর দু’বার-তিনবার লিখিত মেল পাঠানোর পরও আমাদের সাক্ষাৎ দেওয়া হচ্ছে না।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানালেন, আজ রাত ৯টা পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। তারপর ফের আগামিকাল বেলা ১১টা থেকে কর্মসূচি শুরু হবে। তবে তৃণমূলের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য যাঁরা দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন, তাঁরা চাইলে ফিরে যেতে পারেন ।
প্রসঙ্গত, দিল্লি থেকে ফিরে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ‘রাজভবন অভিযান’-এর ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। সেই মতো বুধবার দুপুর ২টোর পরে রবীন্দ্র সদন থেকে শুরু হয় মিছিল। রাজভবনে পৌঁছলেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দেখা মেলেনি। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আবার দিল্লিতে ফিরে যান। কলকাতায় আসেননি।
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, রাজ্যপাল তাঁদের সমাবেশকে ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ধর্নামঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, ‘‘কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিং আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। প্রতিমন্ত্রী পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এখন রাজ্যপালও চলে গেলেন। আমি তো সবার সামনে। বিজেপি নেতারা কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন?’’
অভিষেক জানিয়েছেন, সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে তৃণমূলের ২৫ জন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজভবনে যাবেন এবং সেখানকার আধিকারিকের হাতে একটি স্মারকলিপি জমা দেবেন। এই ২৫ জনের মধ্যে ১০ জন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য থাকবেন। বাকি ১৫ জন থাকবেন দলের প্রতিনিধি হিসাবে।