ডিমা হাসাওয়ে ডেঙ্গুর ব্যাপক প্রাদুর্ভাব, সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান দেবোলালের

হাফলং (অসম), ১ অক্টোবর (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলায় ভয়ংকরভাবে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। প্রায় প্রতিদিনই ডিমা হাসাও জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। বিশেষ করে পাহাড়ি জেলার হাফলং ও মাহুরে ডেঙ্গু-আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি, জানা গেছে স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রে।

ডেঙ্গুর এমন ভয়াবহ অবস্থা যে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাফলং সিভিল হাসপাতালে রোগীদের রাখার জায়গা নেই। ডিমা হাসাও জেলায় ডেঙ্গু যেভাবে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসা।

আজ রবিবার হাফলং সিভিল হাসপাতাল পরিদর্শন করে দেবোলাল গার্লোসা নিজের সরকারি বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলেন, জেলায় যে ভাবে ডেঙ্গু-আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তা উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, ডিমা হাসাও জেলা সদর শহর হাফলং ও মাহুরে ডেঙ্গু-আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। দেবোলাল বলেন, আজ হাফলং সিভিল হাসপাতাল পরিদর্শনকালে চিকিৎসকরা তাঁকে জানিয়েছেন, প্রতিদিনই ৫০-এর বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন।

তিনি বলেন, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাফলং সিভিল হাসপাতালে বেড নেই। বর্তমানে ১৬৪ জন রোগী রয়েছেন। তার মধ্যে বেশির ভাগ রোগী ডেঙ্গু-আক্রান্ত বলে জানিয়ে গার্লোসা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে তিনি স্বাস্থ্য বিভাগ ও হাফলং পুরপর্ষদকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাছাড়া তিনি শহরাঞ্চলে সাধারণ নাগরিকরা যাতে নিজের বাড়ির আশপাশ এলাকার নালা-নর্মদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন, ফুলের টাব বা যে কোনও পাত্রে যাতে জমা জল না থাকে যেখান থেকে ডেঙ্গু মশার জন্ম হয় সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখার পাশাপাশি সমগ্র শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। একমাত্র সচেতনতার মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব, বলেন মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য দেবোলাল গার্লোসা।

উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত অনেক ডেঙ্গু-আক্রান্ত রোগীকে হাফলং থেকে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *