আগরতলা , ২৯ সেপ্টেম্বর।। ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবিধানিক দাবি আদায়ের জন্য তিপ্রা মথা এডিসি এলাকায় ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে। শুরু হয়েছে বিদ্যালয় গুলিতে পরীক্ষা। ৩০ সেপ্টেম্বর ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু এদিন বনধের জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে করা হয়েছে আগামী ১ নভেম্বর। যার ফলে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক মহলে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অপরদিকে পূজার মরশুম। ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত তাদের ব্যবসা নিয়ে। এর মধ্যে দিনের অধিক সময় বনধে ব্যাপক সমস্যায় পড়বে ব্যবসায়ীরা। আর এই সব কিছু চিন্তা করে সিপিআইএম তথা বামফ্রন্ট বনধের বিরোধিতা করার জন্য জনগণের কাছে দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে তারা প্রকাশ করেছে এখন এডিসি এলাকার কাজ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা এমন কি পানীয় জলের তীব্র সংকট চলছে। রাজ্যের বিজেপি সরকারের চরম ব্যর্থতায় রাজ্যব্যাপী জনগণের ন্যূনতম পরিষেবা ভেঙ্গে পড়েছে। জনগণ খাদ্য সামগ্রী সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অগ্নিমূল্যে দিশেহারা। গ্রাম-শহর সর্বত্র কাজের সংকট, বেকারত্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। এডিসি এলাকায় ভিলেজ কমিটির নির্বাচিত কমিটি না থাকায় তিপ্রা মথা ও বিজেপি-র নেতা-কর্মীরা সরকারী অর্থ লুঠ করতে ব্যস্ত। তিপ্রা মথা দলের কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিআইএম।
অন্যদিকে রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের বিরুদ্ধে জাতি-উপজাতি নির্বিশেষে মানুষ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। এই সময়ে তিপ্রা মথা দল নিজের প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থতা ঢাকতে এবং বিজেপি বিরোধী জনগণের মনোভাবকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে এই ধর্মঘট আহ্বান করেছে। ত্রিপুরা বামফ্রন্ট কমিটি রাজ্যের জনগণকে এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করতে আবেদন জানিয়েছে এই বিবৃতির মাধ্যমে। যদিও তথাকথিত মহারাজা এই বনধ ঘোষণা করার সময় জনজাতিদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দেন থানসা হয়ে আন্দোলন করতে হবে। তাহলে দিল্লি পর্যন্ত আওয়াজ পৌঁছাবে। কিন্তু এই আওয়াজ স্থানীয়দের কাছে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম।
সিপিআইএম এর তরফে আরো বলা হয়েছে, রাজ্যে এ ধরনের বনধের ট্রেডিশন আগে থেকেই করে আজ অস্তিত্ব সংকটের মুখে আইপিএফটি -র। দাবি পূরণ হোক আর নাই হোক সহজ সরল ব্যক্তিত্বের সুযোগ নিয়ে জনজাতিদের রাস্তায় নামিয়ে আবেগে চোখ ভাসানোর চিত্র দেখে অভ্যস্ত রয়েছে সাধারণ জনগণ। অভিযোগ, এডিসি -তে মথা এবং রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর মানুষের মৌলিক সমস্যাগুলি সমাধানের পথ খুঁজে না বের করে নিজেরা বাছাই করে নিচ্ছে বিভিন্ন আন্দোলন ও কর্মসূচি মতো কার্যকলাপ। বনধ কোন এক সময় বিরোধিতা করেছেন প্রদ্যোত। তিনি বনধের অসমর্থন করে বলতেন এর দ্বারা কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আজ তিনিই পুজো এবং পরীক্ষার মরশুমে মানুষের সমস্যা সৃষ্টি করে বনধ ডেকে জনজাতিদের আবেগ নিয়ে মশকরা করতে চাইছেন বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিআইএম।