আগরতলা, ২৭ সেপ্টেম্বর: রাজ্যে সরকারি চাকরির পাশাপাশি আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে বিভিন্ন স্বউদ্যোগীও গড়ে উঠছেন। আজ আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১ নং প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত লাভার্থি পরিবার মহাসম্মেলন অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন।
তাঁর কথায়, রাজ্য সরকারের উন্নয়নের মূল অভিমুখ হচ্ছে একেবারে প্রান্তিক এলাকায় বাসবাসকারী ব্যক্তি পর্যন্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দেওয়া। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস বর্তমান সরকারের মূল চালিকাশক্তি। রাজ্যের জনগণের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মার্গ দর্শনে সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেওয়ার চিন্তাভাবনা বাস্তবায়িত করছে। রাজ্য সরকারও প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার মানোন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে দেশ ক্রমশ উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। আর সেটা প্রতিফলিত হয়েছে সদ্য অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে।
মহিলা ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের মহিলাদের সামনের সারিতে নিয়ে যেতে প্রয়াস নিয়েছেন। রাজ্য সরকারও সেই লক্ষ্যে মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছে। চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সরকারি মার্কেট স্টল বণ্টনের ক্ষেত্রেও মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্যে সাধারণ ডিগ্রি কলেজগুলিতে ছাত্রীদের জন্য ফি মকুব করা হয়েছে। তাছাড়া রাজ্যের জনজাতি মহিলাদের হস্ততাঁত ও হস্তকারু শিল্প, রিসা ইত্যাদি কুটির শিল্প তৈরির মাধ্যমে আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে চলার বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রী এদিনের অনুষ্ঠানে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে সরকারি চাকরির পাশাপাশি আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে বিভিন্ন স্বউদ্যোগীও গড়ে উঠছেন। জনগণের মধ্যে আত্মনির্ভর হওয়ার প্রবণতা প্রতিটি প্রান্তে এখন পরিলক্ষিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার মিশন মুডে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ রূপায়িত করছে। আগামীদিনে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ত্রিপুরা সহ ভারতবর্ষ আরও শক্তিশালী হয়ে সামনের সারিতে এগিয়ে যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।