ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ সেপ্টেম্বর।। প্রথমবার দ্বিমুকুট জয়ের আনন্দটাই আলাদা। ৭ দশকেরও পুরানো ক্লাব এগিয়ে চলো সংঘ প্রথমবারের মতো রাজ্য ফুটবল জগতে দ্বিমুকুট জয়ী অন্যান্য ক্লাবের গ্রুপে নাম লেখাতে পেরেছে। যদিও এই আনন্দ উল্লাসে আজ থেকে আরও ২৫০ দিন আগে নিজেদের গা ভাসিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। বিবিধ কারনে তা আদালতের এজলাস পর্যন্ত ঘুরে অবশেষে যথাস্থানে ট্রফি পৌঁছেছে বলে ফুটবল মহলের অনেকেই লীগ ফুটবল ট্রফি ২০২২ শাপমুক্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন। সে যাইহোক, আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা ফুটবল এসোসিয়েশনের অফিস বেয়ারারদের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ, শুক্রবার পড়ন্ত বিকেলে উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে ২০২২ সিনিয়র ডিভিশন লিগ তথা শ্যামসুন্দর কোং চন্দ্র মেমোরিয়াল প্রথম ডিভিশন ফুটবল চ্যাম্পিয়ন এগিয়ে চলো সংঘের হাতে সুদৃশ্য ট্রফি ও প্রাইস মানি ৭৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে শ্যামসুন্দর কোং জুয়েলার্স এর পক্ষে কর্ণধার শ্রীমতি অর্পিতা সাহা, ত্রিপুরা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রণব সরকার, সহ-সভাপতি চঞ্চল নন্দী, অমিত দেব, সচিব অমিত চৌধুরী সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকের বাদ্য, সঙ্গে ব্যান্ড পার্টি এবং শব্দের মূর্ছনায় এগিয়ে চলো সংঘ ট্রফি নিয়ে সুশৃংখলিত মিছিল করে রাজপথ ধরে ট্রফি নিয়ে ক্লাবে পৌঁছে এটাই জানান দিয়েছে যে, “সত্যের জয় অনস্বীকার্য”। তবে এত কিছুর পরেও রানার্স ট্রফি বিজয়ী ফরোয়ার্ড ক্লাব ট্রফি এবং প্রাইজ মানি ৫০ হাজার টাকা নিতে অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টা অনেকেরই নজর কেড়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে সচিব অমিত চৌধুরী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বিষয়টাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন। ফরওয়ার্ড ক্লাব নাকি বিষয়টা নিয়ে আরও উচ্চ আদালতে আপিল করবে বলে সচিব শ্রীচৌধুরী মৌখিকভাবে শুনেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। কার্যত বিষয়টা কি হবে সময়েই দেখা যাবে বলে ফুটবল মহলের অভিমত।