আগরতলা, ১৫ সেপ্টেম্বর : রেল ও বিদ্যুৎ বেসরকারীকরণের প্রতিবাদে সরব হল সিআইটিইউ। শুক্রবার মুক্ত ধারা অডিটোরিয়ামে এক দিবসীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছে সি আই টি ইউ-র। এদিনের এই কনভেনশনে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন দলীয় কর্মীরা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে সি আই টি ইউ এর রাজ্য কমিটির সম্পাদক শঙ্কর প্রসাদ দত্ত বলেন, বিজেপি সরকার দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বেসরকারি হাতে বিক্রি করে দিচ্ছে। তার কথায়, মোদী সরকার কোন দপ্তর এবং দেশের কোন জিনিসটাকে কত টাকায় বিক্রি করবে তার পরিকল্পনা করছে। তিনি আরও বলেন, রেল স্টেশনগুলি বিক্রির পাশাপাশি তৎসংলগ্ন জমি, রেল কলোনি , মাল শেড , স্টেডিয়াম সহ সবকিছুকেই বেসরকারী হাতে তুলে দিচ্ছে মোদী সরকার। তার কথায়, বেসরকারি হাতে এগুলি দেওয়ার ফলে বিভিন্ন কোম্পানিকে এর কাজের বরাত দেওয়া হবে। ফলে দুই তিনটে কোম্পানি যখন একসঙ্গে কাজ করবে তখন মতের অমিল দেখা যাবে। যার ফলে এর ফল ভুগতে হবে সাধারন মানুষকে। তিনি বিজেপি সরকারকে দেশদ্রোহী সরকার হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে সোচ্চার করাই হচ্ছে এখন মূল কাজ।
এদিন কনভেনশনে উপস্থিত সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে বলেন, বিদ্যুৎ এমন একটি বিষয় তা সভ্যতার বিকাশের প্রধান অংশ। এটিকে বাদ দিয়ে সভ্যতার বিকাশ সম্ভব না। তিনি বলেন মানব সভ্যতার যদি বিকাশ ঘটাতে হয় তবে বিদ্যুতকে বাদ দিয়ে এটি সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭-৪৮ অর্থবছরে বিদ্যুৎ আইন পাশ হয়। এই আইন অনুযায়ী রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদান করতে দায়বদ্ধ ছিল। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সহ বিদ্যুতের বিভিন্ন দিক এই আইনে উল্লেখ ছিল। তবে পরবর্তীকালে বিদ্যুৎ পরিষেবা সরাসরি সরকারের চালাতে অসুবিধা হওয়ায়, কেন্দ্রীয় সরকার সব টাকা বন্ধ করে দেওয়ায় ত্রিপুরায় বিদ্যুতের জন্য কোম্পানি গঠন করা হয় ২০০৫ সালের পয়লা জানুয়ারি। তিনি বলেন, তখন বিদ্যুৎ পরিষেবা ছিল তবে এখন এটিকে বিজেপি সরকার পণ্যে রূপান্তরিত করেছে। বেসরকারি হাতে এই বিদ্যুত পরিষেবা নিয়ে এখন রাজ্যের মানুষ সর্বত্র সমস্যার সম্মুখীন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, সাধারন মানুষকে জানাতে হবে তাদের সঙ্গে প্রতারনা হবে তবেই সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উতবে তারা। এদিনের এই কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন সি আই টি ইউ রাজ্য সম্পাদক শঙ্কর প্রসাদ দত্ত, রাজ্য সভাপতি মানিক দে সহ অনান্য নেতৃত্ব।