এবার আলু বোঝাই গাড়ি থেকে নেশা সামগ্রী উদ্ধার

আগরতলা,৷১৩ সেপ্টেম্বর : একটি আলু বোঝাই গাড়ি আটক করে সেই গাড়ি থেকে নেশা সামগ্রী উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও গাড়ির চালক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনা পশ্চিম জেলার চম্পক নগরে। জানা যায় বহিরাজ্য থেকে একটি লরি চোরাই বাড়ি সীমান্ত পার হয়ে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক ধরে চম্পক নগর এলাকায় পৌঁছলে জিরানিয়া থানা ও চম্পকনগর থানার পুলিশ সন্দেহভাজন গাড়িটিকে আটক করতে সক্ষম হয় ।  গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নেশা সামগ্রী উদ্ধার করা সম্ভব হলেও দুই থানার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গেল নেশা সামগ্রী পাচারকারী গাড়ি চালক। পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে আঙ্গুল উঠল বুধবার। জানা যায়, চম্পক নগর এবং জিরানিয়া থানা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে চম্পকনগর এলাকায় গাড়ি চেকিং -এর সময় আলু  বোঝাই গাড়ি থেকে ৪২ বস্তা এসকাফ কফ সিরাপ আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
চম্পক নগর থানার পুলিশ জানায়, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষাধিক টাকা হবে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। গাড়ির চালক পলাতক। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় চালক। পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা নিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে।  প্রশ্ন উঠছে দুই থানার পুলিশ যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে থাকে তাহলে কিভাবে গাড়ি চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়? নাকি এর পেছনে রয়েছে দুই থানার পুলিশের কোন গোপন বোঝাপড়া? তবে সঠিক তদন্ত হলে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বের হয়ে আসতে পারে বলেই ধারনা তথ্যবিজ্ঞ মহলের। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *