‘নাকতলার পুজো থেকে যে নাম সরে গেল!’ শুনে মান্না দে-র গানে উত্তর পার্থর

কলকাতা, ৮ সেপ্টেম্বর (হি স)। বহু বছর, কতকাল ধরে কে তার হিসেব রাখেন, নাকতলার পুজোর সর্বোময় কর্তা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সরকারি এবং প্রশাসনিক নানা সুবিধা পেত ওই পুজো। পুজোর প্রচারে মুখ হয়েছিলেন তাঁর বান্ধবী অর্পিতা। এক বছরের ওপর এসএসসি নিয়োগকাণ্ডের তদন্তে দু’জনই কারার অন্তরালে। গতবছর পার্থবাবুর অনুপস্থিতিতে নাকতলার পুজো হয়ে উঠেছিল দুয়োরানির সামিল। এবার সেই পুজোর অভিভাবক হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

শুক্রবার আদালতে এসেছিলেন জামিনের শুনানির জন্য। বেরোনোর পথে হঠাৎই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল মান্না দে-র প্রেমের গানের কথা! সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভিড় ঠেলে তখন সবে গাড়ির ভিতর উঠে বসেছেন পার্থবাবু। তার পরও তাঁকে লক্ষ্য করে ছুটে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। একই প্রশ্ন। ‘‘নাকতলার পুজোয় তো আর আপনার নাম থাকল না পার্থদা, তা হলে?’’

আধখোলা কাচের ফাঁকে ক্যামেরার আলোর ঝলকানি তখন পার্থবাবুর চোখে। একটু হলেও বিষণ্ণতা দেখা গেল কি? কতকাল ধরে ওই নাকতলার প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। হই হই করে পুজোর আয়োজন করতেন। খুঁটিপুজো থেকে শুরু করে উদ্বোধন— সব কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে থাকতেন নিজে। তাঁরই উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী আসতেন নাকতলার পুজোর উদ্বোধনে। আসতেন তারকারাও। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রশ্ন শুনে বোধ হয় সেই সব দিনের কথাই মনে পড়ে গেল পার্থের।

প্রশ্ন শুনে সরাসরি কারও দিকে তাকালেন না প্রাক্তন মন্ত্রী। শুধু সামনের দিকে তাকিয়ে একটি ছন্দবদ্ধ লাইন বললেন। সেই লাইন মান্না দে-র প্রেমের গানের কথা। তবে তাতে সুর নেই। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বললেন, ‘‘হৃদয়ে লেখো নাম, সে নাম রয়ে যাবে।’’