কলকাতা, ৪ সেপ্টেম্বর (হি স)। যাদবপুরে নিহত পড়ুয়ার পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের মাকে চাকরি এবং ভাইয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিলেন তিনি। সোমবার সদ্য সন্তানহারা বাবা-মায়ের সঙ্গে নবান্নে দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রীর।
এদিন বিকেল চারটে নাগাদ নদীয়া থেকে নবান্নে আসেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মৃত ছাত্রের বাবা-মা। তাঁরা প্রায় ৪৫ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এর পর নীচে প্রেস কর্নারে এসে তাঁরা সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।
নবান্ন সূত্রে খবর, নিহত ছাত্রের স্মৃতিতে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নামকরণ করা হবে। হাসপাতালে বসানো হবে তার মূর্তি।
নিহত পড়ুয়ার মাকে চাকরির আশ্বাসও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বাড়ির কাছেই দেওয়া হবে চাকরি। নিহতের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ দেবে রাজ্য সরকার।
যাদবপুরে মৃত ছাত্রের মা জানান, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যাদবপুরের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। তিনি বলেন, “আমরা আশ্বস্ত, আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখছি।”
এদিন ওই ছাত্রের বাবা বলেন, “যাদবপুরের এই ঘটনায় আমার সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচার চাইতে আজ আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম । দিদি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, এই ঘটনায় বিচার হবে। অপরাধীরা শাস্তি পাবে। আমরা চাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এই অপরাধীরা কোনওভাবেই যেন পার না পায়।”
যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর পর ফোনে ওই ছাত্রের বাবার সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। পরিবারটি যে ছাত্র মৃত্যুর দোষীদের প্রকৃত বিচার পাবেন তাও জানাতে বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। এরপর নদিয়ায় ওই মৃত ছাত্রের বাড়িতে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। গিয়েছিল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। এরপর এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওই মৃত ছাত্রের পরিবারের সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন ওই পরিবারকে বগুলায় থাকা গ্রামীন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির নাম এই মৃত ছাত্রটির স্মৃতির উদ্দেশ্যেই করা হবে। এ ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছে ছাত্রের পরিবার। সেদিন সাংবাদিকদের তরফ থেকে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তদন্তের যে গতিপ্রকৃতি তাতে কি পরিবার খুশি?
এদিন মৃত ছাত্রের মামা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন। যে পথে তদন্ত চলছে তার উপরই ভরসা রাখছেন তারা।