নয়াদিল্লি, ৩১ আগস্ট (হি.স.): জম্মু ও কাশ্মীরে যে কোনও সময় ভোট হতে পারে, সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের ওপর। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। ৩৭০ ধারা বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে অনেক আবেদন জমা পড়েছে, বৃহস্পতিবার সেই আবেদনগুলির শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। এদিন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আদালতে জানানো হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে যে কোনও সময় ভোট হতে পারে, সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য নির্বাচন প্যানেলের ওপর।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এদিন সুপ্রিম কোর্টে আরও জানানো হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটারদের তালিকা আপডেট করার প্রক্রিয়া চলছে, এটি সম্পূর্ণ হতে এক মাস অথবা তার বেশি সময় লাগবে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে আরও জানানো হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে কিছুটা সময় লাগবে।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের তুলনায় সন্ত্রাসবাদের ঘটনা ৪৫.২ কমেছে এবং অনুপ্রবেশ ৯০ শতাংশ কমেছে। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা যেমন পাথর ছোড়া ইত্যাদি ৯৭ শতাংশ কমেছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেছেন, নিরাপত্তা কর্মীদের হতাহতের সংখ্যা ৬৫ শতাংশ কমেছে। ২০১৮ সালে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ছিল ১,৭৬৭, এখন তা শূন্য। ২০১৮ সালে সংগঠিত বনধ ছিল ৫২টি এবং এখন তা শূন্য। এদিকে, সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বল, যিনি কোনও এক আবেদনকারীর হয়ে সওয়াল করেন, তিনি বলেছেন, “সরকার ৫ হাজার মানুষকে গৃহবন্দী করেছে, ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, এমনকি মানুষজন হাসপাতালেও যেতে পারেনি… আসুন আমরা গণতন্ত্রকে নিয়ে উপহাস না করি এবং বনধের কথা না বলি।”