জলপাইগুড়ি, ৩০ আগস্ট (হি. স.) : বুধবার উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় সাড়ম্বরে পালিত হল রাখিবন্ধন উৎসব।
এদিন মেটেলির নবোদয় শিশু নিকেতন স্কুলের তরফে রাখিবন্ধন উৎসব উদযাপন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকরা। এদিন রাখি উপলক্ষ্যে বিদ্যালয়ের তরফে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাও বের করা হয়। শোভাযাত্রার মাঝে পথ চলতি সাধারণ মানুষকে রাখি পরান বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা।
মালদা জেলা প্রশাসন ও ইংরেজবাজার পুরসভার উদ্যোগে পালিত হল সংস্কৃতি দিবস। এদিন সকালে পড়ুয়াদের প্রভাত ফেরি দিয়ে রাখি বন্ধন উৎসবের সূচনা হয়৷ সারা শহর মিছিল করে পড়ুয়ারা পোস্ট অফিস মোড়ে জমায়েত করে রাখি বন্ধন উৎসবে শামিল হন। প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরিকে রাখি পরান মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ, অতিরিক্ত জেলাশাসক জামিল ফাতেমা জেবা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুবকল্যাণ ও ক্রিড়া দপ্তরের উদ্যোগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে রাখিবন্ধন উৎসব অনুষ্ঠিত হয় কালিয়াগঞ্জে। আজ বেলা ১১টায় শহরের স্থানীয় বিবেকানন্দ মোড় এলাকায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এদিন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে নাগরাকাটা থানার উদ্যোগে আয়োজিত রাখি বন্ধন উৎসবকে ঘিরে দারুণ সাড়া পড়ে। বিভিন্ন স্থানে গিয়ে পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা পথ চলতি বাসিন্দাদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন। নাগরাকাটা থানার আইসি কৌশিক কর্মকার বলেন, রাখি বন্ধনের সঙ্গে ভ্রার্তৃত্ব ও একতাবোধ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রচলিত এই উৎসব সমস্ত ভাষাভাষী মানুষের।
গাজোলেও জাঁকজমকভাবে পালিত হল রাখি বন্ধন উৎসব। সরকারিভাবে ব্লক প্রশাসনের তরফে পালন করা হয় এই উৎসব। পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করা হয়। তবে এদিনের রাখি বন্ধন উৎসব একটু অন্যভাবে পালন করল গাজোল থানা। গাজোল থানার আইসি চন্দ্রশেখর ঘোষালের নেতৃত্বে এদিন সকালবেলা প্রথমে গাজোল থানা ক্যাম্পাসে চলে রাখি বন্ধন উৎসব। এরপর গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগীদের হতে রাখি বাঁধেন পুলিশকর্মীরা। পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম এবং মোয়াজ্জেমদের হাতে রাখি বেঁধে তাদের মিষ্টিমুখ করান আইসি। সবশেষে গাজোল এর বিভিন্ন আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ঘুরে বেড়ায় পুলিশের এই দলটি। ওই সমস্ত এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে রাখি পরিয়ে তুলে দেওয়া হয় খাতা, কলম সহ বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী। দুঃস্থ আদিবাসী মহিলাদের দেওয়া হয় নতুন কাপড়।
রায়গঞ্জ থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে বিন্দোল গ্রামের ভৈরবী মন্দিরের বাৎসরিক পুজোয় মাতলেন জেলাবাসী। প্রতি বছর রাখি পূর্ণিমায় এই পুজোর আয়োজন করে গ্রামবাসী। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে রাখি পরালেন জেলা পরিষদ সদস্য মর্জিনা খাতুন। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভিঙ্গল রশিদাবাদ এবং তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের জেলা পরিষদ আসন থেকে তৃতীয়বারের জন্য জেলা পরিষদের জয়লাভ করেছেন এলাকার বিদগ্ধ এবং প্রবীণ নেত্রী মর্জিনা খাতুন। এবারের রাখি পূর্ণিমাতে এলাকাবাসীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে আজ সকাল থেকেই তিনি নিজের নির্বাচনি ক্ষেত্রের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে রাখি হাতে ঘুরে বেড়ালেন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী পথ চলতি মানুষ এবং দলীয় কর্মীদের হাতে পড়ালন রাখি।
অন্যদিকে, আসানসোলে জিটি রোডের ভগৎ সিং মোড়ে যুব আবাসে জেলা যুবকরণ পশ্চিম বর্ধমান ও পুর যুবকরণ আসানসোলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল রাখি বন্ধন অনুষ্ঠান। এদিন পথ চলতি সাধারণ মানুষদের সঙ্গে ভগৎসিং মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক গার্ডের পুলিশদের হাতে রাখি পরানো হয়।