কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বিচারাধীন কয়েদির অস্বাভাবিক মৃত্যু, ব্যাপক চাঞ্চল্য

আগরতলা , ২৯ আগস্ট: বিশালগড়ে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বিচারাধীন কয়েদির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ দুপুর ১টা নাগাদ হঠাৎই বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েদিকে নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের পুলিশ কর্মীরা।কর্তব্যরত চিকিৎসক তথা সুস্মিতা দাস কয়েদিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান ,হাসপাতালে আসার আগেই আসামির মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ সংশোধনাগারেই মৃত্যু হয় কয়েদিকে। চিকিৎসকের মতে কয়েদিকে মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল।ওই মৃত্যুকে ঘিরে গোটা বিশালগড়ে চাঞ্চল্য ছাড়িয়েছে।

উল্লেখ্য ,গত জুলাই মাসের ১৪ তারিখ রাজধানীর ক্যাম্পের বাজার নন্দিটিলায় গৃহবধূ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল স্বামী বাবুল দাস(৪৩)। রাজধানীর পশ্চিম মহিলা থানায় ৪৯৮ ও ৩০২ ধারায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল। অভিযুক্ত বাবুল দাসকে গ্রেফতার করে পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশ ।পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ও দায়রা আদালতের নির্দেশে বিশালগড়ের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জেল হাজতে পাঠানো হয় বাবুল দাসকে। বিগত ৪৮ দিন যাবত আসামিকে জেল হাজতে রেখেই মামলার শুনানি চলছিল। মঙ্গলবার হঠাৎ করেই বাবুল দাসের মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সংশোধনাগার সহ বিশালগড় মহকুমাহাসপাতাল চত্ত্বরে।


সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ জানানো হয়, সিঁড়ি থেকে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় মৃত্যু হয় বাবুল দাসের। তবে সংশোধনাগারের ভেতর এই রহস্য মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাবুল দাসের পরিবারের সদ্যসরা। মৃত বাবুল দাসের ১৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ না থাকায় বিশালগড় হাসপাতালে ময়না তদন্ত হয়নি মৃতদেহের।ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর অন্য কোন হাসপাতালে পাঠানো সম্ভব হয়নি।যদিও স্থানীয় মহকুমা প্রশাসন এবং বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের পক্ষ থেকে মৃতদেহটি আগরতলার জিবিপি হাসপাতালে নিয়ে ময়নাতদন্তের নির্দেশ প্রদান করা হয়।তবে বিচারাধীন অবস্থায় একজন কয়েদির এই রহস্য মৃত্যুতে বিশালগড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বিরুদ্ধে সন্দেহের সঞ্চার হচ্ছে জনমনে।