গুয়াহাটি, ৯ আগস্ট (হি.স.) : রাজ্যে আবারও বিদ্যুৎ দফতরের কৰ্মচারীর ওপর হামলার ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। ধুবড়ি, গোলাঘাটের পর এবার দরং জেলার অন্তর্গত খারুপেটিয়ার মণ্ডলপাড়া গ্রামে বিদ্যুৎ দফতরের কৰ্মচারীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা|
আজ বুধবার খারুপেটিয়ার দলগাঁও বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্রের অধীন মণ্ডলপাড়ায় গ্ৰাহকদের বিল বিতরণ করতে গিয়েছিলেন বিভাগীয় মিটাররিডার আবুমোচা আলি| তখন বিদ্যুতের বিল বেশি এসেছে অভিযোগ তুলে আবুমোচা আলিকে মারধর করা হয়। ইত্যবসরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় খারুপেটিয়া থানার পুলিশ| পুলিশ মারমুখি জনতার হাত থেকে আবুমোচাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ধুবড়ি জেলার গৌরীপুর থানার অন্তর্গত বালাজান এলাকার ডুমরদহ গ্রামে গত ৩ আগস্ট অসম বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (এপিডিসিএল)-এর এক দলের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল গ্রামের মানুষ। ডুমরদহ গ্রামে বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে বলে এক তথ্যের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল হক বিভাগীয় আরও দুই কর্মচারীকে নিয়ে গ্রামে গিয়েছিলেন। গ্রামে গিয়ে তাঁরা দেখেন, প্রায় প্রতিটি বাড়িতে অবৈধভাবে জল তোলার মেশিন ব্যবহার করে বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে।
তাঁরা মেশিনের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে দলবদ্ধভাবে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। মঞ্জুরুল হক বর্তমানে ধুবড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত হয়েছিলেন এপিডিসিএল-এর কর্মচারী মহিদুল হক ও রফিকুল হকও। তাঁরাও চিকিৎসাধীন। তাঁদের মাটিতে ফেলে লাঠি-মুগুর দিয়ে পেটানো হয়েছিল। সেদিনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এখন পর্যন্ত ছয়জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
আরেকটি ঘটনায় গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) আসাম পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিডিসিএল)-এর এক কর্মচারী চন্দন গগৈয়ের ওপর গোলাঘাট জেলার মেরাপানি এলাকায় জনৈক লক্ষ্মী শইকিয়াকে বেধড়ক মেরেছে এক ভোক্তা। বিদ্যুৎভোক্তা শইকিয়ার অভিযোগ তার মিটারে প্রচুর পরিমাণে বিল (৪০০ টাকা) দেখানো হয়েছে। হামলায় আহত চন্দন গগৈকে গোলাঘাট সিভিল হাসপাতালে নিয়ে ভরতি করা হয়েছিল।

