পণের দাবীতে অত্যাচার গৃহবধূকে, অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করল গৃহবধূ

আগরতলা, ৭ আগস্ট : বিয়ের চার বছর পরও পণের জন্য অমানুষিক অত্যাচার স্ত্রীকে । অত্যাচারের মাত্রা দিনের পর দিন বেড়ে যাওয়ায়  বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে গৃহবধূ রাশি চাকমা (২২)।মেয়ের বাপের বাড়ীর অভিযোগ পণের দায়ের অত্যাচারের ফলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে সে। রাশির বাবা  মেয়ের উপর পণের জন্য অস্বাভাবিক অত্যাচারের ফলেই মেয়ে মারা গেছে এমন অভিযোগ এনে ভাংমুন থানায় মামলা করেন।অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাশি চাকমার স্বামী রাহুল চাকমাকে তার কনপুইস্থিত বাড়ি থেকে  গ্ৰেপ্তার করে। রাহুলের বিরুদ্ধে ভাংমুন থানা ১০/২০২৩ কেইস নম্বরে পণের দাবিতে মারধর, আত্মহত্যার প্ররোচনা সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা নিয়েছে। এই ব্যপারে ভাংমুন থানার অফিসার ইনচার্জ বুদ্ধ দেববর্মা জানিয়েছেন, কাঞ্চনপুর থানাধীন রবীন্দ্রনগর এলাকা বাসিন্দা পয়তে রায় চাকমার মেয়ে রাশির বিয়ে হয় জম্পুই ব্লকের কনপুইয়ের বাসিন্দা রাহুল চাকমা। বিয়ের এক বৎসর ভালো কাটলেও কাঞ্চনপুর রবীন্দ্রনগরস্থিত রাশির বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য রাশিকে চাপ দিত রাহুল । রাশি বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করত রাহুল। রাহুলের অত্যাচারে কয়েকবার বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসে রাশি। কিন্তু রাহুলের লোভ বাড়তে থাকে। শুক্রবার বাপের বাড়ি গিয়ে আরো টাকা আনার জন্য রাশিকে বলে। রাশি রাজি না হওয়ায় তার উপর অমানসিক অত্যাচার করে রাহুল। অত্যাচারের মাত্রা সহ্য করতে না পেরে রাশি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনার খবর পেয়ে রাশির বাপের বাড়ির লোকজন কনপুই যায় । পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে শনিবার। আত্মহত্যার ঘটনার মামলা হয়। পুলিশ তথ্য প্রমাণ পেয়ে রাহুলকে গ্ৰেপ্তার করেছে। এখন দেখার ন্যায় বিচার পায় কিনা খুশি।