কানাডায় ওয়ার্ল্ড পুলিশ অ্যাথলেটিক্সে ঝড় তুলে ত্রিপুরার মধুমিতার দখলে ৩টি পদক

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ আগস্ট।।আবারও ঝড়। সোনার মেয়ের।  ট্র‌্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে। আর তাতেই দেশকে এনে দিলেন ব্রোঞ্জের পর এনে দিলেন স্বর্ণ এবং রৌপ্য পদক। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে প্রথম ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছিলেন মধুমিতা দেব। বিশ্ব পুলিস এবং ফায়ারম্যান অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায়। কানাডার মনিটাবোতে ১-‌৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে আসর। তাতে দেশের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন ভূপাল সি আই এস এফে কর্মরত মধুমিতা দেব। শনিবার রাতে ৪০০ মিটার দৌড়ে রৌপ্য পদক এবং ৪x‌১০০ মিটার রিলেতে স্বর্ণ পদক জয় করে দেশের পাশাপাশি ত্রিপুরার নাম উজ্জ্বল করেছেন মধুমিতা। ৪x‌১০০ মিটার রিলেতে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে ট্র‌্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে মধুমিতা-‌র সঙ্গে ঝড় তুলেছিলেন বীরপল কাউর,বিজয়া কুমারী এবং আন রোজ টমি। খোয়াই জেলার রোতিয়ার প্রয়াত প্রবীর এবং গৃহিণী সীমা দেবের এক ছেলে এবং মেয়ের বড় মধুমিতা। সে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াশুনা করার সময় ভর্তি হয় ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলে। রাজ্যের স্বনামধন্য অ্যাথলেটিক্স কোচ তথা প্রাক্তন ক্রীড়া আধিকারিক স্বপন সাহা ঘষে মেজে তৈরী করেন সোনার মেয়েকে। জাতীয় আসরে ত্রিপুরাকে বহু পদক এনে দেওয়ার পর খেলো ইন্ডিয়া স্কিমে জায়গা পায় সে। প্রয়াত প্রবীর দেবের এক ছেলে এবং মেয়ের বড় মধুমিতা খেলো ইন্ডিয়া স্কিমে থাকা কালিন যোগ দেন ভূপাল সি আই এস এফে। দেশের পাশাপাশি রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করা ছাত্রীর সাফল্যে খুশি কোচ স্বপন সাহা। এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন ওই কোচ বলেন,”গর্বে বুক ভরে আসলো। বিশ্বাস করতাম শুনু (‌মধুমিতা-‌র ডাক নাম) একদিন দেশের নাম উজ্জ্বল করবেই। তাই হলো। এমনই হলো। তবে ওকে আরও এগিয়ে যেতে হবে‌”। ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলের পক্ষ থেকেও শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং প্রশিক্ষকরা অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছেন সোনার মেয়েকে।‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *