কোচবিহার, ৩ জুলাই (হি.স.) : কোচবিহারে কিশোরীকে যৌন নির্যাতন ও খুনের প্রতিবাদ ও দোষীদের উপযুক্ত সাস্থির দাবিতে এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ বিজেপির । বৃহস্পতিবার ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা ও ভারতীয় জনতা মহিলা মোর্চার এসপি অফিস অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাধল কোচবিহারে ।
কোচবিহারে বিজেপির এসপি অফিস অভিযান ঘিরে আগেই সেখানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। মোতায়ন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। পুলিশ সুপারের দফতরে ঢোকার মুখে বেশ কয়েকটি রাস্তায় ব্যারিকেড লাগানো হয়েছিল। একটি ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে চলে আসলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিজেপি নেতা-কর্মীরা রাস্তায় বসে পড়েন। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় জানান, মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ। তাদের ব্যর্থতার জন্যই রাজ্যে মহিলাদের ওপর বারবার আক্রমণ করা হচ্ছে। যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৮ জুলাই কোচবিহারের কালজানির এক ১৪ বছরের কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। কিশোরী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাঁকে ফুঁসলে অপহরণ করে মাথাভাঙ্গায় নিয়ে যায় এক যুবক। সেখানে কিশোরীর ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। এদিকে, মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজখবর শুরু করেন। কিন্তু কিশোরীর হদিস না পেয়ে ২০ জুলাই পুন্ডিবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বাপ্পা বর্মন সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। নির্যাতনের ফলে কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কোচবিহারের একটি নার্সিংহোম হয়ে ২০ জুলাই মাঝরাতে তাকে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ জুলাই সেখানে কিশোরীর মৃত্যু হয়। এদিকে ঘটনায় জেলার প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে নানা জায়গায় আন্দোলন শুরু হয়।