গন্ডাছড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে তুলে নেয়া হচ্ছে এসপিও ক্যাম্প, আন্দোলনের হুমকি গ্রামবাসীদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ জুলাই৷৷  এম আর দাস পাড়া এসপিও ক্যাম্প পুনঃস্থাপনের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে গ্রামবাসী৷ ধলাই জেলার প্রত্যন্ত মহকুমা হিসেবে পরিচিত গন্ডাছড়া৷ আজও গন্ডাছড়া মহকুমা বিভিন্ন দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে৷ ২০০১ সালে গোটা রাজ্যে উগ্রপন্থীর উপদ্রব ছিল৷ তখন গন্ডাছড়া মহকুমা এলাকাজুড়ে উগ্রবাদীর কার্যকলাপ মারাত্মক আকার ধারণ করে৷ এই সময় তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার গ্রামে গ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে গ্রামরক্ষী বাহিনী বা এসপিও বাহিনী গঠন করে৷ ২০০২ সালে গন্ডাছড়া মহকুমার দুর্গম এলাকাগুলিতে বেশ কিছু এসপিও ক্যাম্প বসানো হয়৷ এর মধ্যে একটি এম আর দাস পাড়া ক্যাম্প৷ দেখা গেছে ক্যাম্প বসানোর পর থেকে একদিকে যেমন উগ্রবাদীর কার্যকলাপ কমেছে, অন্যদিকে চুরি ডাকাতি অনেকাংশই হ্রাস পায়৷  ক্যাম্প থাকার ফলে এম আর দাস পাড়া সহ তার আশপাশ এলাকায় বসবাসকারী কয়েক হাজার জাতি জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে জীবন যাপন করছিল৷ এরই মাঝে গত ছয় মাস আগে হঠাৎ একদিন ধলাই জেলা আরক্ষা প্রশাসন ক্যাম্পটি সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায়৷ যদিও এই সময় গ্রামবাসীদের রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে প্রবল আন্দোলনের ফলে জেলা আরক্ষা প্রশাসন গ্রামবাসীদের প্রতিশ্রুতি দেয় আগামী কিছুদিনের মধ্যে সেখানে আবার ক্যাম্পটি পুনঃস্থাপন করা হবে৷ আরক্ষা প্রশাসনের গালভরা প্রতিশ্রুতি গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করতে পারছিল না৷ তাই প্রশাসন সেই সময় ক্যাম্পে চারজন এসপিও রেখে যায়৷ এরপর দেখতে দেখতে ছয় মাস কেটে গেলেও আজ অব্দি ক্যাম্পে এসপিও পাঠানোর কোন লক্ষণ নেই৷ উল্টো ক্যাম্পটি ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে৷ এমতাবস্থায় এলাকার মহিলারা সংঘবদ্ধ হয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তাদের আগামী দিনের রূপরেখা তুলে ধরেন৷ মহিলারা জানান আগামী অল্প কিছুদিনের মধ্যে যদি এম আর দাস পাড়া এসপিও ক্যাম্পটি পুনঃস্থাপন করা না হয় তাহলে একসঙ্গে গন্ডাছড়া থানা, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কার্যালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *