BRAKING NEWS

টিলাবাজারে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ, মার খাচ্ছে পুষ্টি প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ জুলাই৷৷ গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থাকলেও প্রায়ই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রটি বন্ধ থাকে৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি প্রায়ই বন্ধ থাকার ফলে গ্রামের শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা থেকে শুরু করে সরকারি সমস্ত ধরনের সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে৷ ঘটনা কৈলাসহরের টিলাবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়বন্দ এলাকায়৷ বড়বন্দ গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি বন্ধ থাকার ফলে সংশ্লিষ্ট গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীর ওপর গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ৷ উল্লেখ্য, কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অধীনে অবস্থিত টিলাবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ডের বড়বন্দ গ্রামের আজিজুন নেছা চৌধুরী স্মৃতি অঙ্গনওয়াড়ি  কেন্দ্রটি প্রায়ই বন্ধ থাকে বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন৷ বারো জুলাই বুধবার এবং তেরো জুলাই বৃহস্পতিবার লাগাতার দুই দিন বড়বন্দ গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি বন্ধ ছিলো৷ বড়বন্দ গ্রামের আজিজুন নেছা চৌধুরী স্মৃতি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমনি কিংবা সহায়িকা কেউই না আসায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি দুই দিন ধরে বন্ধ থাকার ফলে প্রতিদিন গ্রামের শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসার পর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ দেখে বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়৷ এরফলে শিশুরা পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হবার পাশাপাশি সরকারের দেওয়া ডিম, বিসুকট, দুধ, কলা, ছানা, খিচুড়ি ইত্যাদি থেকেও বঞ্চিত ৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের না খাইয়ে  সেগুলো হাফিজ করে দিচ্ছেন দিদিমণি এবং সহায়িকা৷ টিলাবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ডের বড়বন্দ গ্রামের আজিজুন নেছা চৌধুরী স্মৃতি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি গৌরনগর ব্লকের চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসারের তত্ত্বাবধানে থাকলেও নিয়মিত ভাবে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি পরিদর্শন করা হয়না বলেই বড়বন্দ গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি বন্ধ থাকে৷ কারণ চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসারের পরিদর্শন নিয়মিত ভাবে থাকলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি এবং সহায়িকা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি বন্ধ রাখতে পারতেন না৷ তেরো জুলাই বড়বন্দ গ্রামের আজিজুন নেছা চৌধুরী স্মৃতি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি বন্ধ থাকার খবর পেয়ে সংবাদ প্রতিনিধিরা খবর সংগ্রহের জন্য বড়বন্দ গ্রামে যাবার পর গ্রামবাসী তথা বড়বন্দ গ্রামের আজিজুন নেছা চৌধুরী স্মৃতি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের একেবারেই পাশের এক বাসিন্দা জানান যে, গ্রামের শিশুরা পড়াশোনা করবে এবং সরকারের দেওয়া পুস্টিকর খাবার শিশুরা খাবে এই চিন্তাভাবনা করেই উনারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য জায়গা দান করেছিলেন৷ সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য বিল্ডিং ঘরও নির্মান করে দিয়েছে৷ সরকার নিয়মিত ভাবে দিদিমনি এবং সহায়িকাকে বেতনও দিয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়মিত ভাবে খোলা হয় না এবং গ্রামের শিশুরা পড়াশোনা থেকে সবকিছুতেই বঞ্চিত হচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *