বহু বুথে নানা কারণে, দেরিতে শুরু ভোট

কলকাতা, ১০ জুলাই (হি. স.) : রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে ১৯টির একাধিক বুথে পুনর্নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে ৬৯৬টি বুথে। কিন্তু নানা কারণে বিভিন্ন স্থানে ভোটগ্রহণে ব্যাঘাতের খবর এসেছে নির্বাচন কমিশনে।

সোমবার কাঁকসার আমলাজোড়া পঞ্চায়েতে শোকনা গ্রামের ১৫১ নম্বর বুথে ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয় নির্দিষ্ট সময়ের বেশ খানিকটা পরে। পুনর্নির্বাচনের নোটিস আসতে দেরি হওয়ায় রাত ১২টার পর মাইকে এলাকায় প্রচার করা হয় যে ফের ভোট হবে কাঁকসার বনকাটি পঞ্চায়েতের বসুধার ১৯,২০ নম্বর ও আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের বামনাবেড়ার ১৪৪,১৪৫ এবং শোকনার ১৫১ নম্বর বুথে। শনিবার, পঞ্চায়েত ভোটের দিন শোকনার এই বুথে বামেরা অশান্তি বাঁধায় বলে অভিযোগ। তাই পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত।

জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি ব্লকের ১৯/২৬৬ নম্বর বুথ ও ১৮/১২১ নম্বর বুথে সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ভোট দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। নিরাপত্তায় রয়েছে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও দুর্যোগের কারণে ভোট শুরু হতে কিছুটা দেরি হয়। এই বুথগুলিতে শনিবার কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না বলে অভিযোগ। তার জন্য ভোটারেরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের দফতরও এই সব অব্যবস্থা অস্বীকার করেনি। পরিসংখ্যান বলছে, সোমবার পুনর্নির্বাচনে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬.৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে। কোনও কোনও কেন্দ্রে ভোট শুরু হতে দেরি হয়েছে। কোথাও আতঙ্কে ঘর থেকে বেরোননি ভোটারেরা। অনেক কেন্দ্রে আবার রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে।

মুর্শিদাবাদের একাধিক বুথে সোমবার পুনর্নির্বাচনের দিন ভোটপ্রক্রিয়া শুরু হতে দেরি হয়েছে। অব্যবস্থার অভিযোগ এসেছে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। সমশেরগঞ্জ প্রসাদপুর এলাকার ১৩০ নম্বর বুথে ভোটকর্মীদের প্রায় দু’ঘণ্টা দেরি আসেন। অনেকে ভোট দিতে এসেও দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষার পর ফিরে গিয়েছেন। এ ছাড়া, ডোমকলের একটি বুথে দীর্ঘ ক্ষণ বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। তবে জেলার প্রায় প্রতিটি বুথেই আঁটসাঁট নিরাপত্তা দেখা গিয়েছে।

দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের আজমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাউদপুর বুথে রবিবার রাতে পুনর্নিবাচনকে কেন্দ্র করে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয়দের দাবি, তৃণমূলের বাইক বাহিনী এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা থাকলেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না অনেকেই। বাহিনী চলে গেলে আক্রমণ হতে পারে বলে ধারণা তাঁদের। তাই অনেকে আর ভোট দিতেই আসেননি।