মুম্বই, ২ জুলাই (হি. স.) : শিবসেনার পর এবার ভাঙন ধরল শরদ পওয়ারের দল এনসিপিতেও। মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকারে যোগ দিলেন পওয়ারের ভাইপো তথা মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিদায়ী বিরোধী দলনেতা অজিত পওয়ার। রবিবার মহারাষ্ট্রের রাজভবনে গিয়ে শপথ নেন অজিত-সহ অন্য এনসিপি নেতারা। মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন প্রবীণ এনসিপি নেতা ছগন ভুজবলও। মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একনাথ শিন্ডে মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন অজিত। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে চলেছেন অন্য এনসিপি বিধায়করা।
এনসিপি সূত্রে খবর, সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না অজিত। তবে তাঁর সঙ্গে প্রায় ৪০ জন এনসিপি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। বর্তমানে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এনসিপির ৫৩ জন বিধায়ক রয়েছেন। অজিতের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে তিনিই যে এনসিপির ‘প্রকৃত’ স্বত্ত্বাধিকারী, আগামী দিনে তার প্রমাণ করার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন অজিত।
রবিবার নিজের বাসভবনে দলীয় বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে বৈঠকে বসেন অজিত পওয়ার। এনসিপি সূত্রের খবর, এই বিধায়কদের প্রত্যেকেই দলের অন্দরে ‘অজিত অনুগামী’ বলে পরিচিত।
রবিবার সকালে অজিত পওয়ার বৈঠক করেন বেশ কয়েকজন দলীয় নেতার সঙ্গে। শরদ পওয়ার এই বৈঠক সম্পর্কে কিছু জানতেন না। অজিতের বাসভবন ‘দেবগিরি’তে উপস্থিত নেতা-বিধায়কদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম দলের এক বর্ষীয়ান নেতা ছগন ভুজবল। সবচেয়ে আশ্চর্যের, বর্তমানে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলেও সেই বৈঠকে ছিলেন। যদিও দলের রাজ্য সভাপতি জয়ন্তী পাটিল অনুস্থিত ছিলেন। শেষপর্যন্ত অজিতের ‘বিদ্রোহে’র পরই এনসিপির ফাটল স্পষ্ট হল। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রকম দলীয় অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন হতাশ শরদ পওয়ার ।
প্রসঙ্গত, আগেই অজিত জানিয়েছিলেন, বিরোধী দলনেতার পদ নয়, তিনি চান সংগঠনের ক্ষমতা। কিন্তু তাঁর সেই দাবিকে আমল দেননি শরদ। ফলে এনসিপিতে অজিতেরর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেই গিয়েছিল।