BRAKING NEWS

বিজেপি কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে মার খাচ্ছে, পুলিশ তৃণমূল শ্রমিক নেতার মাথায় ছাতা ধরছে – টুইটে খোঁচা শুভেন্দুর

দুর্গাপুর, ৩০ জুন (হি. স.) : ‘বিজেপি কর্মীরা মনোনয়ন দিতে গিয়ে মার খাচ্ছে। হুমকি দিয়ে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলতে বাধ্য করানো হচ্ছে। আর পুলিশ তৃণমূল শ্রমিক নেতার মাথায় ছাতা ধরছে।’ নির্বাচন বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেসকে এভাবেই টুইটে খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন পরই রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যে মনোনয়ন পর্ব মিটিছে। জোরকদমে চলছে রাজনৈতিকদলগুলির প্রচার। প্রচারে রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্র সহ নানান দিকে তৃণমূলকে আষ্টেপিষ্টে আক্রমনের দাঁ সানিয়েছে গেরুয়া শিবির। পাল্লা দিয়ে দুর্নীতিকে ইস্যু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বামশিবির। তার ওপর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। দলীয় কর্মসূচীতে বারংবার প্রকাশ্যে এসেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার বিকাল পানাগড় বাজারে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা ছিল তৃণমূলের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। বিকেলের দিকে আচমকা বৃষ্টি শুরু হয়। মঞ্চে তখন বক্তব্য রাখছেন তৃণমূল শ্রমিক নেতা তথা দুর্গাপুরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। নেতাকে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে মাথায় ছাতা ধরেন এক পুলিশ কর্মী। আর ছবি মুহুর্তেই সোশাল সাইটে ভাইরাল হতে বিতর্কের ঝড় ওঠে। ওই ছবি দিয়ে টুইটে রাজ্য তৃণমূল ও পুলিশকে খোঁচা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি। তিনি বলেছেন,”বিজেপি কর্মীরা মনোনয়ন দিতে গিয়ে মার খাচ্ছে। হুমকি দিয়ে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলতে বাধ্য করানো হচ্ছে। আর পুলিশ তৃণমূল শ্রমিক নেতার মাথায় ছাতা ধরছে। এটা নির্বাচন বিধিভঙ্গ হচ্ছে।” যদিও শুভেন্দু অধিকারির টুইট প্রসঙ্গে দুর্গাপুরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায় পাল্টা বলেন,” পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়। বৃষ্টির মধ্যে বক্তব্য রাখার সময় পিছন থেকে কে ছাতা ধরেছিল দেখিনি।”তিনি শুভেন্দু অধিকারি নিশানা করে প্রশ্ন তুলে বলেন,” শুভেন্দু বাবুর ২০ জন সরকারি দেহরক্ষী রয়েছে। তাতে কি নির্বাচন বিধিভঙ্গ হয় না?” তিনি আরও বলেন,”বৃষ্টির মধ্যেও প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল। জনসমাগম দেখে আতঙ্কিত বিজেপি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *