নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ জুন৷৷ ১৪ বছরের নাবালককে বহিরাজ্যে আটকে রাখার অভিযোগ এক কম্পিউটার সংস্থার বিরুদ্ধে৷ সোমবার বিশ্রামগঞ্জ থানায় এসে অভিযোগ করলেন নাবালক ছেলের পিতা উত্তম দাস এবং মা রেখা দত্ত দাস৷সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ১৪ বছরের এক নাবালক ছেলেকে বহি রাজ্যে আটকে রাখার অভিযোগ এক বেনামী কম্পিউটার সংস্থার বিরুদ্ধে৷ সোমবার বিশ্রামগঞ্জ থানায় এসে অভিযোগ করলেন নাবালক ছেলের পিতা উত্তম দাস এবং মা রেখা দত্ত দাস৷ অত্যন্ত গরিব এই পরিবারটি৷ ছেলেটির পিতা উত্তম দাস কাঠমিস্ত্রি কাজ করে সংসার প্রতি পালন করেন৷ একটি মাত্র সন্তান তাদের৷ ছেলেটির নাম প্রীতম দাস ১৪ ছেলেটি সপ্তম শ্রেণী পাশ করে চেচুড়ী মাই হাই সুকলে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিল৷ এরই মধ্যে মোবাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে কলকাতা বারাসাত কদম গাজী এলাকায় এক কম্পিউটার সংস্থার সঙ্গে পরিচয় হয় তার৷ এরপর কথাবার্তি হয় সেই সংস্থার সঙ্গে৷ সেই সংস্থা বলেছে তাকে তিন মাস পর্যন্ত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেবে৷ এরপর একেবারে ধীরে ধীরে ইঞ্জিনিয়ারিং পর্যন্ত পড়তে পারবে৷ সে তার বাবা মাকে অনেক বুঝিয়ে সাজিয়ে রাজি করে৷ তিন মাস পূর্বে প্রিতমের বাবা এবং প্রীতম রেলের মাধ্যমে কলকাতা শিয়ালদা স্টেশন পর্যন্ত যায়৷ এরপর ওই কোম্পানির একজন লোক তার নাম অর্পণ সেন৷ অর্পণ সেনের হাতে প্রীতমকে তুলে দেয়৷ ছেলেটির বাবাও সঙ্গে যেতে চেয়েছিল৷ কিন্তু কম্পিউটার ওই সংস্থার লোক ছেলেটির বাবাকে সঙ্গে নেয় নি৷ প্রীতমের বাবার কাছে ৩৭ হাজার টাকা দাবি করে৷ অনেক কষ্ট করে প্রীতমের বাবা ২৫ হাজার টাকার মত ওই সংস্থাকে দিয়েছে৷ তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে এখন ছেলেকে তারা ছাড়ছে না আটকে রেখেছে৷ সমস্ত কিছু বিশ্রামগঞ্জ থানায় জানিয়েছে নাবালক ছেলেটির বাবা-মা৷ বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং কলকাতা বারাসাত কদমগাছি এলাকার থানার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে৷
2023-06-12