নদিয়া, ১০ জুন (হি. স.) : পড়তে যাওয়ার পথে আচমকা এক যুবকের দায়ের কোপে মারা গেল স্নেহা চক্রবর্তী নামে ১৮ বছরের এক ছাত্রী। শনিবার সকালে এমনই ঘটনা ঘটল নদিয়ার করিমপুরে। খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে যুবককে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ব্রজেন মণ্ডল নামে এক যুবক স্নেহার পথ আটকে দাঁড়ান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দা দিয়ে কোপ দিতে শুরু করেন। ছাত্রীর গোঙানি শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসার আগেই পালিয়ে যান আততায়ী। পরে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে যুবকটি বলেন, তিনিই খুন করেছেন। স্নেহা জমশেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। ঘটনার পর তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, হোগলবাড়িয়া থানা এলাকার বাসিন্দা ব্রজেনের সঙ্গে বছর তিনেক ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশী স্নেহা ওরফে সোনালির। তবে সম্প্রতি তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হয়। এমনকি, এ নিয়ে থানাপুলিশও হয়েছিল। তারপর থেকে স্নেহা আর ব্রজেনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী ছিল না। অন্য দিকে, ব্রজেন সম্পর্কে থাকার জন্য স্নেহাকে চাপ দিতেন বলে অভিযোগ। প্রত্যাখ্যাত হয়ে রাগের বশে স্নেহাকে তিনি খুন করেছেন বলে অভিযোগ।