বেঙ্গালুরু, ২৭ মে (হি.স.) : শনিবার দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পরেই মন্ত্রীদের মধ্যে দফতর বন্টন করলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। অর্থ, গোয়েন্দা-সহ একাধিক দফতর নিজের হাতে রেখেছেন তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার পেয়েছেন সেচ ও বেঙ্গালুরু শহর উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর য়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরাকে। খাদ্য ও গণ সরবরাহের দায়িত্ব পেয়েছেন কে এইচ মুনিয়াপ্পা।
শনিবারই কর্নাটকে নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আরও ২৪ কংগ্রেস বিধায়ক। প্রথম দফায় মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ শপথ নিয়েছিলেন ১০ জন। সবমিলিয়ে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন ৩৪ জন। প্রত্যেককেই পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভায় একমাত্র মহিলা হিসেবে ঠাঁই পেয়েছেন লক্ষ্মী হেব্বালকার।
এদিন শপথ নেওয়া ২৪ মন্ত্রীর মধ্যে ১২ জনই নবাগত। মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পরেই মন্ত্রীদের মধ্যে দফতর বন্টন করে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্পনা দফতরের মন্ত্রী হয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি দীনেশ গুণ্ডুরাও। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ছেলে প্রিয়ঙ্ক খাড়গে গ্রামীণ ও পঞ্চায়েতিরাজ দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। সামাজিক কল্যাণ দফতর দেওয়া হয়েছে এইচ সি মহাদেবাপ্পাকে। শক্তি দফতর জুটেছে কে জি জর্জের ভাগ্যে। সতীশ জারিকিহোলি পেয়েছেন পূর্ত দফতরের দায়িত্ব। এইচ কে পাতিল পেয়েছেন আইন ও পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিজের হাতে রেখেছেন অর্থ, ক্যাবিনেট অ্যাফেয়ার্স, কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার, গোয়েন্দা, তথ্য-সহ একাধিক দফতর। লক্ষ্মী হেব্বালকরকে নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমবায় দফতরের মন্ত্রী হয়েছেন কে এন রানজনা। উচ্চ শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন শরণপ্রকাশ পাতিলের কাঁধে।