দার্জিলিং, ২৩ মে (হি. স.) : এবার পাহাড়ে লাম্পি ভাইরাস৷ লাম্পি স্কিন ডিজিজ বা লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত গবাদি পশু৷ বলা যেতে পারে, দার্জিলিং, কালিম্পঙে গবাদি পশুর মধ্যে মহামারির আকার নিয়েছে এই রোগ৷ তাই চিন্তায় জেলাপ্রশাসন থেকে পশুপালন বিভাগ ও কেন্দ্রীয় প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দলকে পাহাড়ে পাঠাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। বুধবার তাদের আসার কথা।
কেন্দ্রীয় প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পুরুষোত্তম রূপালা জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকারের তরফে লাম্পি ভাইরাস মোকাবিলায় অ্যান্টিডোট ও ভ্যাকসিনেশনের জন্য দেড় কোটি টাকা রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে বহু গবাদি পশু সুস্থ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷
এ প্রসঙ্গে দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, “পাহাড়জুড়ে লাম্পি ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরুষোত্তম রূপালা ও সঞ্জীবকুমার বলয়ানকে দ্রুত পদক্ষেপের জন্য আবেদন করেছি৷” তিনি জানান, এপ্রিল মাস থেকে পাহাড়ে এই লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্তের খবর মিলেছে৷ বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার এই রোগ রুখতে কিছু করেনি৷ তাঁর দাবি, তিনি পাহাড়ে সমীক্ষা চালানো, নমুনা পরীক্ষা, ভ্যাকসিনের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছেন। পাশাপাশি যাঁদের গবাদি পশু লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বাইরে থেকে গবাদি পশু প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সিকিম ৷ সেখানে সোরং, পাকইয়ং ও নামচি জেলায় লাম্পি ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গিয়েছে৷ দার্জিলিংয়ের সুখিয়াপোখরি, রিম্বিক, লোধামা ও বিজনবাড়িতে ওই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে৷ কলকাতার রিজিওনাল ডিজিস ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরিকে সবরকম সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার ৷ লাম্পি ভাইরাসের এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়েছে ৷ এই দলে গুয়াহাটির নর্থ ইস্টার্ন রিজিওনাল ডিজিস ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরি এবং কলকাতার ইস্টার্ন রিজিওনাল ডিজিজ ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন ৷ বুধবার এই দলটির পাহাড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।