কলকাতা, ২১ মে (হি. স.) এসএসকেএমের ‘ক্ষত’ ভুলিয়ে দিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল । মদন মিত্রর পাঠানো রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়েছে এই হাসপাতালে। শুধু তাইই নয়, মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফোন করে এই খবর জানিয়েছেন। রবিবার সকালে রোগীকে দেখতে গিয়ে মেডিক্যালের কর্তৃপক্ষকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মদন মিত্র। সেইসঙ্গে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার কথা।
রবিবার দুপুরে মেডিক্যালের সামনে থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কামারহাটির বিধায়ক। বলেন, ”কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এগিয়ে এসেছে। এখান থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয়েছে, চলে আসুন, এখানে বেড-সহ সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই রোগী এখানে ভরতি হয়েছে। আমি তাঁকে দেখতে এসেছিলাম। আমি বলি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের প্রতি মানবিক। আমি তাই তাঁর সঙ্গে সবসময় আছি। সেদিন এসএসকেএমের ব্যবহারে দুঃখ পেয়েছিলাম।”
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। বাইক দুর্ঘটনায় জখম এক যুবককে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভরতি করাতে গিয়েছিলেন স্বয়ং মদন মিত্র। কিন্তু সেখানে রোগীর চিকিৎসা হয়নি। বেড খালি নেই বলে তাঁকে জানানো হয়। বিধায়ক নিজে মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু সুরাহা হয়নি তাতে। এরপর তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে ফোন করে বিষয়টি জানান। সমাধান মেলেনি তাতেও। ক্ষোভে ফেটে পড়েন মদন মিত্র। রাজ্যের সুপারস্পেশ্যালিটি সরকারি হাসপাতালে রোগী ভরতি করাতে গিয়ে প্রত্যাখ্যাত কামারহাটির বিধায়ক ওইদিন দফায় দফায় বিস্তর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সিপিএম আমলে ১ মিনিটেই হাসপাতালে রোগী ভরতি করানো যেত, এমন মন্তব্য করে এই মুহূর্তে হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। পালটা তাঁর আচরণ নিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষও অভিযোগ দায়ের করেছে। দিনভর এসব চলার পর শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে দলের তরফে মদন মিত্রর সঙ্গে কথা বলে শৃঙ্খলা বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হয়। তবে রবিবার এই চিত্রে খানিকটা বদল।