স্ত্রীর মর্যাদা আদায়ের লক্ষ্যে প্রেমিকের বাড়ির ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে আশ্রয় নিল প্রেমিকা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ মে৷৷ স্ত্রীর মর্যাদা আদায়ের লক্ষ্যে প্রেমিকের বাড়ির ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে বাড়িতে আশ্রয় নিল প্রেমিকা৷ যতদিন স্ত্রীর মর্যাদা না দেবে ততদিন সে যে কোন মূল্যে সেখানে অবস্থান করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে৷৷  গকুলনগর সুকান্ত কলোনি এলাকার সুশান্ত সাহার ছেলে সুজিত সাহার সাথে গত দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ  একই এলাকার এক যুবতী৷ বারবার প্রেমিক সুজিত সাহা তার প্রেমিকাকে আশ্বাস দিয়ে আসছিল যে তাকে সামাজিক রীতিনীতি অনুসারে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলবে৷ স্ত্রীর স্বীকৃতি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয় তাদের মধ্যে৷কিন্তু যখন মেয়েটি তার প্রেমিক সুজিত সাহাকে স্ত্রীর  মর্যাদা দেওয়ার ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে  তখন সুজিত সাহা বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকে৷ জানা গেছে ,প্রেমিক সুজিত সাহা হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি সিকিউরিটি গার্ডে কর্মরত৷  ইতিমধ্যে সে বিয়ে করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়৷  বাধ্য হয়ে মেয়েটি স্থানীয় এলাকাবাসীদের সহযোগিতা নিয়ে দুইবার গকুলনগর সুকান্ত কলোনি এলাকার প্রেমিক সুজিত সাহার বাড়িতে ধরনায় বসে৷ মেয়েটি প্রথমবার ধরনায় বসার সময় মেয়েটির প্রেমিক সুজিত সাহা সহ প্রেমিকের গোটা পরিবার বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল৷ তারপরেও মেয়েটি হাল ছাড়েনি৷ বেশ কয়েকবার এ নিয়ে এলাকায় মীমাংসা সভাও হয়৷ কিন্তু কোন লাভ হয়নি৷ বেশ কিছুদিন আগেও প্রেমিক সুজিত সাহা এলাকার বিধায়িকা অন্তরা সরকার দেবের কাছে লিখিত আকারে স্বীকারোক্তি দিয়ে জানিয়েছিল এক সপ্তাহের মধ্যে তার প্রেমিকাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলবে৷ কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রেমিক সুজিত সাহার কোন দেখা নেই৷ অবশেষে  রবিবার দুপুরে পুনরায়  স্থানীয় এলাকাবাসীদের সহযোগিতা নিয়ে মেয়েটি তার প্রেমিক সুজিত সাহার বাড়িতে গিয়ে উঠে৷ এতেই শেষ নয়৷ রবিবার মেয়েটি তার প্রেমিকের বাড়ির তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে এবং মেয়েটি জানিয়েছে তার প্রেমিক সুজিত সাহা তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতেই হবে৷ যতদিন পর্যন্ত সে স্ত্রীর মর্যাদা না পায় ততদিন পর্যন্ত সে তার প্রেমিক সুজিত সাহার বাড়িতেই বসবাস করবে৷ অসহায় এই মেয়েটির এই করুন অবস্থার ধরুন এত কিছু হয়ে যাবার পরেও এখনো পর্যন্ত রাজ্য মহিলা কমিশন অসহায় মেয়েটির পাশে এসে দাঁড়ায়নি এবং কোন ধরনের সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেয়নি৷ তবে যতদূর জানা গেছে স্থানীয় এলাকাবাসীরা অসহায় প্রেমিকার পাশে থেকে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা পাইয়ে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে৷