ও পি সি -১৬৯/১০(৪৮.১)
ব্লাডমাউথ-১৭৩/২ (৩০.১)
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ মে।।আগামীবছর সুপার ডিভিশন ক্রিকেটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো ব্লাডমাউথ ক্লাব। ২১ বছর পর। ২০০২ সালে সুপার ডিভিশন থেকে প্রথম ডিভিশনে নেমে পড়েছিলো কৌশল আচার্য-র দুরন্ত ব্যাটিংয়ে প্রথম ডিভিশন ক্রিকেটে সেরার সম্মান পায় ব্লাডমাউথ ক্লাব। শনিবার খেতাব নির্ণায়ক ম্যাচে ব্লাডমাউথ ৮ উইকেটে পরাজিত করে ও পি সি-কে। নরসিংগড় পুলিস ট্রেণিং আকাদেমি মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ও পি সি-র গড়া ১৬৯ রানের জবাবে ১৯.৫ ওভার বাকি থাকতে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ব্লাডমাউথ। বিজয়ী দলের কৌশল আচার্য ৭৮ রানে অপরাজিত থেকে যান। আসরে ৭ ম্যাচ খেলে ৬ টি ম্যাচে জয় পেয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সেরা হয়েছে ব্লাডমাউথ ক্লাব। এদিন সকালে ব্লাডমাউথের অধিনায়ক তুষার সাহা টসে জয়লাভ করে প্রথমে ও পি সি-কে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান। ও পি সি ৪৮.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে। মিডল অর্ডারে আকাশ আনন্দ এবং অজিঙ্ক অরুণ পাটিল যদি কড়া প্রতিরোধ গড়ে না তুলতেন তাহলে ও পি সি-র স্কোর ৭০ রানের গন্ডি পার হতো কীনা তা নিয়ে দেখা দিত সন্দেহ। আজিঙ্ক ১০০ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারি ও ৩ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৪ এবং আকাশ ৭৫ বল খেলে ৮ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৬ রান করেন। এছাড়া দলের পক্ষে নবারূণ চক্রবর্তী ৩০ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬ এবং বৈভব মালি ২৫ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ রান করেন। ব্লাডমাউথের পক্ষে আরবিন্দ ভর্মা (৩/২৮),মণীর হুসেন (২/২৪) এবং দলনায়ক তুষার সাহা (২/২৭) সফল বোলার। জবাবে খেলতে নেমে ৩০.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ব্লাডমাউথ ক্লাব। ওপেনার রণদীপ পাল (৫) ব্যর্থ হওয়ার পর কৌশিক গিরীর সঙ্গে রুখে দাঁড়ান দিনের নায়ক কৌশল আচার্য। ওই জুটি কড়া প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ১৩৩ রান। কৌশিক ৫৭ বল খেলে ৫ টি বাউন্ডারি ও ৩ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৪ রান করে আউট হয়েছেন। এরপর আরবিন্দ ভর্মাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে খেতাব জয় করাতে মূখ্য ভূমিকা নেন কৌশল। ওই জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে জয় এনে দেন। কৌশল ৯৫ বল খেলে ১০ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৮ রানে এবং অরবিন্দ ২২ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ রানে অপরাজিত থেকে যান। ও পি সি-র পক্ষে দ্বীপেন বিশ্বাস (১/২৩) এবং বৈভব মালি (১/৫০) উইকেট পেয়েছেন। খেলা শেষে মাঠেই বিজয়োল্লাসে মেতে উঠেন ব্লাডমাউথের ক্রিকেটার সহ কর্মকর্তা-রা।

