কলকাতা, ১৮ মে (হি. স.) : “বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ভানু অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ। একটা সময়ে বামফ্রন্টে ছিলেন। এরপর অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে তৃণমূলে আসেন। আবার অনুগামী হয়ে তিনি ফের একবার চলে যান।
বৃহস্পতিবার এই ভাষাতেই সাফাই গাইলেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বাজি কারখানার পুরোটার দায় দায়িত্ব অধিকারী পরিবারের। এমনকি এলাকার এমপি এবং স্থানিীয় পঞ্চায়েত কর্তারাও কোনও দিন অবৈধ বাজি কারখানা নিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি।
এদিন কুণালের সঙ্গে কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্তর সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতার অভিযোগের বিরোধিতা করেন। তোপ দাগার চেষ্টা করেন বিজেপি-কে। শশী পাঁজার কথায়, রাজ্যে ১০ লাখ মানুষ ১০০ দিনের কাজ করে থাকে। কেউ টাকা পাচ্ছে না। বাধ্য হয়েই এমন বিপদজ্জনক পেশাকে বেছে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রীর।
কড়া ভাষায় তৃণমূলের এহেন যুক্তিকে খন্ডন করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, রাজ্যের শাসক দল এখন জনবিচ্ছিন্ন, জনরোষের শিকার। ঘটনাস্থলে গিয়ে জেভাবে তৃণমূল নেতারা পালিয়ে আসতে বাধ্য হলেন তা সেটাই প্রমাণ করে বলে দাবি বিজেপি নেতার। শুধু তাই নয়, ভানু ভাগের মতো লোকেরা স্থানবিয় পুলিশের হস্তক্ষেপেই এই কাজ করত। আর তা আড়াল করতেই এহেন প্রলাপ বলে দাবি শমীক ভট্টাচার্যের।