ঢাকা, ১৫ মে (হি.স.): অতি প্রবল সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে বলে বাংলাদশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। এর তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূলে ক্যাটাগরি ৫ ঝড় হিসেবে আছড়ে পড়েছে সেটি। সেই সময় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৫৪ কিলোমিটার।
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকার আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিনে ১২ হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি। সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমার এই ঘূর্ণিঝড়কে সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। এই প্রথম কোনও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করা হল যেখানে কোনও মৃত্যু হয়নি। এজন্য এটাকে বিশাল সফলতা হিসেবে দেখছি। কারণ প্রাণহানিটা সবচেয়ে বড় ক্ষতি।
এদিকে, মায়ানমারের শিটওয়ের রাখাইন অঞ্চলে ক্রান্তীয় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাস্তাঘাট প্লাবিত। উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাদ। টেলিকম টাওয়ার ভেঙে এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে, এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বন্ধ রয়েছে মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা। এক লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। মায়ানমারের পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে স্থানীয় মনস্ট্রি এবং স্কুলগুলিতে নিরাপদে রাখা হয়েছে বহু মানুষকে।

