কলকাতা, ১৩ মে (হি. স.) : কলকাতায় এসে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গেলেন বলিউডের ‘ভাইজান’ সলমন খান। শনিবার ইস্টবেঙ্গলের মাঠে অনুষ্ঠান রয়েছে ভাইজানের । সেই মতো শুক্রবার রাতেই কলকাতায় পা রাখেন তিনি। শনিবার বিকেল থেকেই কালীঘাটের রাস্তায় জমতে থাকে ভিড়। এরপর বিকেল ৪টে ২০ নাগাদ ঢুকতে থাকে সলমন খানের কনভয়। এরপরেই নজরে আসে কালো টয়োটা গাড়িতে। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গাড়ি থেকে প্রথমে নামেন ভাইজানের দেহরক্ষী শের খানও। এরপরেই নামেন সলমন খান । ক্যামেরার সামনে হাত নাড়ান তিনি। সলমন বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সাদা উত্তরীয় পরিয়ে ঘরে ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী। সলমন খানের পরনে ছিল আকাশি শার্ট, ফেডেড জিন্স, চোখে সানগ্লাস। ‘ভাইজান’-এর অপেক্ষায় কিছুক্ষণ আগে থেকেই বাড়ির উঠোনে ঘরোয়া পোশাকে দাঁড়িয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাত জোড় করে নমস্কার করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ফেলেন। পাশাপাশি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে দুজনে ছবিও তোলেন।
এরপর সলমন জুতো খুলে ঘরে ঢোকেন। প্রায় আধঘণ্টা সেখানে ছিলেন বলিউড তারকা। এরপর বেরিয়ে যান। তাঁকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিতে সঙ্গে যান মুখ্যমন্ত্রী। কালীঘাটের বাড়ির ছোট্ট বাগানটি দেখে সলমনের বেশ ভাল লেগেছে বলে তাঁর শরীরীভাষায় প্রকাশ। তাঁর বাড়ির সামনে দলের নেতৃত্ব ছাড়াও বহু সলমন অনুরাগীকেও দেখা গেল। তাঁরা সকলে প্রিয় তারকাকে দেখতে জমায়েত করেছিলেন। গাড়ি থেকে সলমন খান নামতেই যেন এক লহমায় বদলে গেল চারপাশের পরিবেশ। মমতা বাড়িতে ছিলেন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও। ইতিমধ্যেই দুজন কথা বলেন।
অন্যদিকে, বৈঠক শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সলমানের সঙ্গে আসা নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য বাড়ির ভিতর থেকে মিষ্টি পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। জানান, আজ সলমনকে কাছে পেয়ে ভাল লাগল। তবে তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাইজানকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সালমান খান সরাসরি ইস্টবেঙ্গল মাঠে যান। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ তেরো বছর পর কলকাতায় এসেছেন সলমন খান । ইভেন্টের নাম- ‘দাবাং: দ্য ট্যুর রিলোডেড’। শনিবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সলমনের সঙ্গে অনুষ্ঠান করতে দেখা যাবে সোনাক্ষী সিনহা, প্রভু দেবা, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, গুরু রানধাওয়া, সুনীল গ্রোভার, মনীশ পল, পূজা হেগড়ে।