রায়গঞ্জ, ১০ মে (হি. স.) : দাড়িভিটে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিতেই রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে তুলোধনা করলেন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী।
বুধবার দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেবশ্রী বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ে উর্দু ছাত্রের সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। সেখানে বাংলার শিক্ষক দরকার হলেও উর্দু শিক্ষক পাঠানো হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই বচসা শুরু হয়। তখনই পুলিশ রাজেশ-তাপসের ওপর গুলি চালায়। গুলিতে জখম রাজেশ-তাপসকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বেশকিছু জেহাদি ওই দুজনকে মারধর করে। পরবর্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করে এবং তাদের পরিবারের পাশে একবারের জন্যও দাঁড়ায়নি।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা নিজে ওই বিষয়টি দেখেন এবং যথাযথ তদন্ত করে রাজেশ-তাপসের হত্যায় দোষীদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। ২০১৯ সালে দেবশ্রী রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর রাজেশ-তাপসের কবরের মাটির তিলক কেটে তাদের সুবিচার দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। এদিন দেবশ্রী বলেন, ‘বিজেপি যা বলে তাই করে। আমরা মানুষের পাশে থাকার জন্য রাজনীতি করি। রাজনীতি করে পেট ভরানোর জন্য দেবশ্রী চৌধুরী রাজনীতি করে না।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট স্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। যার জেরে পুলিশের গুলিতে স্কুলেরই দুই প্রাক্তন ছাত্র তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকার প্রাণ হারান বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাতেই এদিন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তদন্তভার দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হবে কিনা সেটাও এনআইএ সিদ্ধান্ত নেবে।