কলকাতা, ৯ মে (হি. স.) : জোড়াসাঁকোর পর সায়েন্স সিটি-তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান ‘খোলা হাওয়া’য় যোগ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠে রবি ঠাকুরের সৃষ্টির ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিশ্বে ঠাকুরই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ভারত ও বাংলাদেশের দুটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত লিখেছেন। দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত এক কবি লিখেছেন এমন নজির পৃথিবীতে নেই। এছাড়া তিনি বলেন, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব কর্মসূচির আওতায় আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্ধারিত পাঁচটি বিষয় নিয়ে এসেছি। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে গোটা দেশকে জানাতে চান প্রধানমন্ত্রী। এ জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে এবং করা উচিত। ৭৫ বছরে দেশ গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক ও সাহিত্যিকভাবে কী অর্জন করেছে, তার তথ্য প্রচার করতে হবে। এর পাশাপাশি দেশ যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে, তখন আমাদের লক্ষ্য কী এবং সে জন্য কী করা উচিত।
এদিন, পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলা শিল্প, সাহিত্য ও দর্শনকে একত্রিত করে বহনকারী একটি রাষ্ট্র। গুরুদেব জয়ন্তীতে এখানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ। দেশের সাংস্কৃতিক পরিচয় ও বৈশ্বিক পরিচয়ের উদাহরণ যদি একজন ব্যক্তির অনুপ্রেরণায় দেখা যায়, তাহলে তিনি হলেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রসঙ্গত, একাধিক কর্মসূচি নিয়ে সোমবার রাতেই রাজ্যে এসেছেন শাহ। মঙ্গলবার সকালে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জোড়াসাঁকোতে রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মালা পরান শাহ। ঘুরে দেখেন রবি ঠাকুরের বাড়ি। শাহের সঙ্গে জোড়াসাঁকোয় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।