কলকাতা, ৫ মে (হি. স.) : ‘বিএসএফের মদতেই গরু পাচার। আমরা এতদিন ধরে যা বলে আসছি, সেটাই ইডির চার্জশিটে প্রমাণিত হয়ে গেল’। গরুপাচার মামলায় শুক্রবার সাংবাদিকদের এই প্রতিক্রিয়া দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
তিনি বলেন, “বিএসএফের যোগসাজশেই গরুপাচার করা হত।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা বিএসএফের বিরুদ্ধে এই দাবি তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের আরেকটি সংস্থা ইডি। সূত্রের খবর, চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, গরুবোঝাই ট্রাকগুলিকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একটি টোকেন দেওয়া হত। ইডি-র চার্জশিটে দাবি, কোথাও ট্রাক আটকালে, টোকেন দেখালেই সীমান্তে যাওয়ার সবুজ সংকেত মিলত।
এভাবে নিরাপদ পথের মধ্যে দিয়ে গরুবোঝাই শয়ে শয়ে ট্রাক পৌঁছে যেত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।আর এখানেই অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকা ছিল বলে এর আগে একাধিকবার দাবি করেছে সিবিআই ও ইডি।
সূত্রের খবর, চার্জশিটে ইডি-র দাবি করেছে, রাত ১১ থেকে ৩টে, এই ৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে গরুপাচার হত। এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা পৌঁছত বিএসএফের একাংশের কাছে। মুর্শিদাবাদ সীমান্তে বেশ কয়েকটি জায়গা ঠিক করা ছিল। যেখান দিয়ে নদী পথে বাংলাদেশে গরু পাচার হত।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কীভাবে গরুপাচার করা হত, তা বিস্তারিত নিজেদের চার্জশিটে দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পাচারের জন্য বীরভূম থেকে গরু গুলিকে ট্রাকে তুলে, তা মুর্শিদাবাদ জেলার ওমরপুরে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল লতিফের ওপর।
ইডির চার্জশিটে দাবি, পাচারের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া গরুবোঝাই ট্রাকের চালকদের কাছে একটি নির্দিষ্ট টোকেন দেওয়া থাকত। রাস্তায় পুলিশ প্রশাসনের তরফে চেকিং হলে সেই সময় সেই টোকেন দেখালেই ছেড়ে দেওয়া হত ট্রাকগুলিকে।