নয়াদিল্লি, ৪ মে (হি.স.) : অবশেষে দিল্লির আবগারি নীতির কেলেঙ্কারির তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের চার্জশিটে উঠে এল প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার নাম। বৃহস্পতিবার (৪ মে), ২৫০০ পৃষ্ঠার একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। এই মামলার ২৯তম অভিযুক্ত হিসেবে মণীশ সিসোদিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২১-২২ সালে দিল্লিতে যে আবগারি নীতি প্রয়োগ করা হয়েছিল, সেই নীতি গঠনে এবং প্রয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে তহবিল তছরুপ করেছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির। পরে এই আবগারি নীতিটি বাতিল করা হয়। দিল্লির আবগারি নীতির কেলেঙ্কারির তদন্তে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) । এরপর, ৯ মার্চ একই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এই মামলায় এর আগে তিনটি চার্জশিট পেশ করেছিল ইডি। কিন্তু, তার কোনওটিতেই সিসোদিয়ার নাম ছিল না। তবে বৃহস্পতিবার, ২৫০০ পৃষ্ঠার একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল (ইডি) । এর মধ্যে ২১০০ পৃষ্ঠা জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রামাণ্য নথি। চার্জশিটে এই মামলার ২৯তম অভিযুক্ত হিসেবে মণীশ সিসোদিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১১ মে।
এর আগে গত মাসে, সিবিআই-এর পক্ষ থেকে দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছিল। সেখানে, চার জনের নাম ছিল। প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল মণীশ সিসোদিয়ার। এছাড়া ওই চার্জশিট নাম ছিল কেসিআর-এর দল ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী কে কবিতার অডিটর বুচি বাবু, অরুণ পাণ্ডে এবং আমনদীর ঢাল নমে এক মদ ব্যবসায়ীর।
যদিও প্রথম থেকেই ইডি-সিবিআই-এর সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মণীশ সিসোদিয়া। তাঁর পাসে দাঁড়িয়েছে দলও। এই মামলার নাম জড়ানোর পরও দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাঁকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে রেখে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর, তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে, তারপরও মণীশ নির্দোষ বলে দাবি করেছেন আপ প্রধান। সিসোদিয়ার সঙ্গেই পদ থেকে সরানো হয়, কেজরিওয়াল মন্ত্রীসভার আরেক সদস্য সত্যেন্দ্র জৈনকেও। জমি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে তিনিও বর্তমানে কারাবন্দি।-