বেতুকান্দি বাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মাণের অগ্রগতি পর্যালোচনা, সীমান্তে স্লুইস গেট পরিদর্শন, বর্ষার সরশুমে স্লুইস গেট খোলা রাখার নির্দেশ
শিলচর (অসম), ৪ মে (হি.স.) : রাজ্যের জলসম্পদ, তথ্য ও জনসংযোগ ইত্যাদি বিভাগের মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা বৃহস্পতিবার বরাক উপত্যকা সফরের দ্বিতীয় দিন কাছাড় জেলার বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছেন।
মন্ত্রী প্রথমে বরাক নদীর বাদ্রিঘাট এলাকায় বাঁধের মেরামতের কাজ ও পরে বেতুকান্দি এলাকা পরিদর্শন করেন। ইতিমধ্যে এলাকায় একটি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হচ্ছে এবং প্রায় ৭০০ মিটার বাঁধ উঁচু ও পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। পরিদর্শনকালে মন্ত্রী স্লুইস গেট ও বাঁধের প্রায় ৭০০ মিটার কাজ খতিয়ে দেখেন। মন্ত্রী জেলাশাসককে এলাকায় বাঁধ নির্মাণে যে ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যা দেখা দিয়েছে তা দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী হাজরিকা শহরের অন্নপূর্ণাঘাটও পরিদর্শন করে চলমান ভাঙন রোধের কাজ পরিদর্শন করেন। পরে শিলচর থেকে বরখলার মানিকপুরে গিয়ে বরাক নদীর বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, মানিকপুরে বাঁধ পুনর্নির্মাণের একটি প্রকল্প ইতিমধ্যে চলমান থাকলেও জমি অধিগ্রহণে কিছু সমস্যার ফলে কাজের অগ্রগতি ব্যাহত করেছে। পরিদর্শনকালে মন্ত্রী জেলাশাসককে জমি সমস্যা সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন। মন্ত্রী আসন্ন বর্ষার মরশুমে এলাকাকে বন্যা থেকে মুক্ত করতে জলসম্পদ বিভাগকে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনাও দেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মহাদেবপুর পরিদর্শন করে বলেশ্বর নদীর স্লুইস গেট পরিদর্শন করেন তিনি।
জলসম্পদ দফতরের মন্ত্রী হাজরিকা গত বছর এলাকা পরিদর্শন করে দেখেন, কয়েকটি বিভাগের অধীনে নির্মিত ছয়টি স্লুইস গেট চালু নেই। মন্ত্রী জলসম্পদ বিভাগের বাস্তুকারদের স্লুইস গেট মেরামতের নির্দেশ দেন। বিভাগীয় বাস্তুকাররা মন্ত্রীকে জানান, ওই এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ছয়টি গেটই চালু করা হয়েছে। তিনি কার্যনির্বাহী বাস্তুকারকে আগামী চার মাসে প্রতি সপ্তাহে একবার ব্যক্তিগতভাবে ওই সব স্লুইস গেট পরিদর্শন করে বর্ষাকালে সচল রাখার জন্য মন্ত্রীর কাছে সাপ্তাহিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী হাজরিকার সঙ্গে ছিলেন সাংসদ ডা. রাজদীপ রায়, বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, জেলাশাসক রোহনকুমার ঝা, জলসম্পদ বিভাগের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা।