নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ এপ্রিল৷৷ কল্যানপুর বাজারে ছয় মাসেরও বেশি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন সামগ্রীর ছড়াছড়ি৷ অবশেষে ময়দানে নেমেছে প্রশাসন এবং বাজেয়াপ্ত বহু সামগ্রী৷ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার৷ জরিমানাও আদায় করা হয়েছে৷ কল্যানপুর বাজারে এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী৷দীর্ঘদিন ধরেই মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী বিক্রি করে চলছে৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন কল্যাণপুর বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ শিশুখাদ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামগ্রী অনৈতিকভাবে বিক্রি করা হচ্ছে৷ এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড চললেও কালঘুমে আচ্ছন্ন ফুড সেফটি দপ্তর থেকে সাধারণ প্রশাসন৷ শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের তীব্র প্রতিবাদে ময়দানে তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসনের কর্মকর্তারা৷ অভিযানের শুরুতেই বাজারে ব্যবসায়ীদের দোকানে হদিস মেলে ছয় মাসেরও বেশি সময়ের মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রীর৷ সম্প্রতি সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন
প্রকারের বেকারীজাত খাদ্যসামগ্রী, প্যাকেটজাত শিশুখাদ্য বিক্রির তথ্যভিত্তিক খবর পৌঁছে প্রশাসনের কাছে৷ তাতেই বেকায়দায় পড়ে প্রশাসন৷ বৃহস্পতিবার আচমকা তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে এক উচ্চপর্যায়ের আধিকারিক দল কল্যাণপুর বাজারে আচমকা হানাদারি চালায়৷ অভিযান চলাকালীন সময়ে মহকুমা প্রশাসনের বিভিন্ন টিমের সদস্যরা একযোগে কল্যাণপুর বাজারের বিভিন্ন মিষ্টির দোকান, বেকারী সামগ্রীসহ মুদিমাল দোকানে দফাওয়ারি অভিযান চালায়৷ অভিযানে বাজারের বেশ কিছু দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রির হদিস পাওয়া যায়৷ বিশেষ করে কল্যাণপুরের পুরাতন মোটর স্ট্যান্ডের জনৈক রাজেশ দে’’র দোকানে অভিযান চলাকালীন সময়ে মহকুমা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের চক্ষু চরক গাছ হয়ে যায়৷ সংশ্লিষ্ট দোকানে বেকারীজাত সামগ্রী থেকে শুরু করে শিশুখাদ্য এমনকি রোগীদের প্রয়োজনীয় হরলিক্সসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীতেও রয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণের রমরমা৷
এছাড়াও বেশ কিছু দোকানে অভিযান চলাকালীন সময়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রির হদিশ পাওয়া যায়৷ একাধিক মিষ্টির দোকান অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আধিকারিকরা৷ কঠোর ভাবে দোকানীদের সর্তক করা হয়৷ অধিকাংশ খাদ্য সামগ্রীর দোকানে বেআইনি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের কারণে সেই গুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ গোটা বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মহকুমা প্রশাসনের ডিসিএম অঞ্জন দাস জানান, কল্যানপুর বাজারে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনের একটি স্পেশাল টিম বাজারের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালায়৷ বেআইনিভাবে ব্যবসা করার সত্যতা মিলেছে৷ মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রীও পাওয়া যায়৷ বিভিন্ন প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রীর আপাতত নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ উপযুক্ত তদন্ত ক্রমে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে৷ আগামী দিনেও এরকমের উদ্যোগ জারি থাকবে বলে দাবি করা হয়৷ আজকের এই অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন ডিসিএম অঞ্জন কুমার দাস, এসডিসি (ফুড) শুভংকর চৌধুরী, চীফ ইন্সপেক্টর (ফুড) ভুট্টু দেববর্মা, ফুড সেফটি অফিসার জেমিফার দেববর্মা, লিগেল মেট্রলজি ইন্সপেক্টর মানিক দাস সহ কল্যানপুর থানার পুলিশ আধিকারিক প্রমুখ