নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ এপ্রিল৷৷ জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধীনে থাকা ছাত্রাবাস গুলিকে দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য নতুন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷ এখন থেকে ছাত্রবাস গুলিতে থাকা আবাসিকদের একাউন্টে সরাসরি অর্থ প্রদানের ব্যবস্থপনা নেওয়া হয়েছে৷ বুধবার সুপারীবাগানস্থিত দশরথ দেব হলে বোর্ডিং হাউস স্টাইপেন্ডের অর্থ প্রদানের জন্য সুবিধাভোগী ব্যবস্থাপনা ইকোসিস্টেম এবং ই-রুপি পেমেন্ট সিস্টেমের উপর প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা কর্মসূচির সূচনা করে একথা বলেন উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা৷ তিনি আরো জানান, কিছু দিন আগে বেশ কিছু হোস্টেল তিনি পরিদর্শন করেছেন৷ তাতে বেশ কিছু অনিয়ম নজরে এসেছে৷ তাই এগুলি দূর করতে এধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা মূলক কর্মসূচীতে হোস্টেল গুলির ইনচার্জদের ডাকা হয়েছে৷ আগামী দিনে কিভাবে হোস্টেল গুলির পরিষেবা উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে সম্যক ধারনা দেওয়া হয়৷ এর পরও হোস্টেল গুলিতে কোন ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতি পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে দপ্তরের মন্ত্রী হুশিয়ারি দিয়েছেন৷ উল্লেখ্য রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যেসব হোস্টেল রয়েছে সেসব হোস্টেল গুলি পরিচালনার ক্ষেত্রে একাংশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে দায়িত্বজ্ঞানহীন মানসিকতা দীর্ঘদিন ধরেই পরিলক্ষিত হচ্ছে৷ সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করলেও সেই অর্থের সঠিক বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না৷ হোস্টেল গুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রেও অনীহা পরিলক্ষিত হচ্ছে৷ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থান করতে হচ্ছে৷ দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বিকাশ দেববর্মা এসব দুর্নীতি ও সমস্যা দূর করার জন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন৷
.বর্তমান সরকার উপজাতি কল্যাণে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করে চলেছে৷ সরকার গৃহীত পরিকল্পনাগুলি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা৷ বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান
১৯৭০ সালে ২৪ শে অক্টোবর তপশিলি জাতি ও জনজাতি কল্যাণ দপ্তর চালু হয়৷ ১৯৮২ তে রাজ্যের জনজাতি জনগোষ্ঠীর বিকাশের লক্ষ্যে পৃথকভাবে জনজাতি কল্যাণ দপ্তর কাজ শুরু করেন৷ নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার পাশাপাশি জনজাতিদের উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্প গুলি পর্যালোচনা করে সময় ও পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে আরও বাস্তবমুখী করে তোলা হচ্ছে৷ বুধবার সুপারিবাগান স্থিত জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা৷ দপ্তরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি৷ রাজ্যের জনজাতিদের সাংসৃকতিক, আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়ন এর জন্য জনজাতি গবেষণা কেন্দ্র বিভিন্নভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ ২০২২- ২৩ অর্থবছরে এখনো পর্যন্ত মোট ৬৭০ জন দরিদ্র জনজাতিদের চিকিৎসার জন্য জনজাতি কল্যাণ দপ্তর ৪৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে৷ এছাড়া সমস্ত জেলার জন্য ১১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা এবং বিশেষ করে এডিসি- র জন্য নয় কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে৷ বনাধিকার আইনের মাধ্যমে ২৩ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের মোট দেড় লক্ষাধিক জনজাতি ও সাধারণ অংশের পরিবারকে মোট এক লক্ষ ৮৮ হাজার ২৫৭ দশমিক ৭ হেক্টর পরিমাণ জমির পাট্টা প্রদান করা হয়েছে৷ বুধবার সুপারিবাগান স্থিত জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা৷ দপ্তরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি৷