বড়খলা (অসম), ১৬ এপ্রিল (হি.স.) : গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকায়। আজ রবিবার বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলার বড়খলা বিধানসভা এলাকার ভাঙারপার গ্রামের জনৈক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ গাছের ডাল থেকে উদ্ধার নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনাকে কেন্দ্ৰ করে আজ সকালে উত্তেজনা ছড়ালে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে বড়খলা এবং ভাঙারপার পুলিশকে।
জানা গেছে, ধর্মীয় রীতি মেনে ভাঙারপার মাখাই গ্রামের জনৈক মইনুল হক বড়ভুইয়াঁর ছেলে কবির উদ্দিন বড়ভুইয়াঁর সঙ্গে নিকাহ হয়েছিল বড়খলা সোনাপুর গ্রামের জনৈক নাসির উদ্দিন চৌধুরীর কন্যা সীতা বেগম চৌধুরীর। আজ সকালে স্বামীর বাড়ির পাশে জঙ্গলে একটি গাছের ডালে থেকে সীতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলে ঘটনাকে রহস্য-মৃত্যু অভিযোগ তুলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে মৃতের বাবার বাড়ির লোকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মৃতদেহ দেখে হত্যার অভিযোগ করেন। সীতার নিকটাত্মীয়দের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তাদের মেয়েকে নির্যাতন করা হতো। অনেক অভিযোগ রয়েছে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। প্রায়ই যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা হতো তাদের মেয়ের ওপর। দাবি আদায় না হলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হতো সীতাকে। অভিযোগকারীদের কথায়, তাদের মেয়ে কোনওভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। পূর্ব পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে এবং সেই হত্যাকে ঢাকতে গাছের ডালে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার রূপ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে মাখাইর গ্রামে উপস্থিত হন ভাঙারপার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ। ম্যাজিস্ট্রেট গৌরব দাসের উপস্থিতিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। ঘটনায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করলেও কোনও ধরনের ধরপাকড়ের খবর জানা যায়নি। এ বিষয়ে হত্যা সংক্রান্ত এফআইআর দায়ের করেছেন সীতার বাবার বাড়ির লোকজন।