নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ এপ্রিল৷৷ পরিবহণ দপ্তরের পরিষেবাকে আরও জনমুখী করতে রোড ম্যাপ তৈরী করে কাজ করতে হবে৷ কেননা বিগত দিনের পরিবহণ ব্যবস্থা ও আজকের দিনের পরিবহণ ব্যবস্থার মধ্যে রাত দিন ফাঁরাক রয়েছে৷ পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও দ্রত ও আধুনিক রূপ দিতে পরিবহণ দপ্তরকে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ করতে হবে৷ পরিবহণ মন্ত্রী সুুশান্ত চৌধুরী আজ গীতা’লি অতিথি নিবাসের কনফারেন্স হলে পরিবহণ দপ্তরের এক পর্যালোচনাসভায় একথাগুলো বলেন৷ সভায় পরিবহণ দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, পরিবহণ কমিশনার সুুবত চৌধুরী, এমবিবি বিমানবন্দরের অধিকর্তা কে সি মীনা, উত্তর পূর্বা’ল রেলওয়ের এরিয়া ম্যানেজার টি কুমার, এআইজিপি জ্যোতিমান চৌধুরী, ট্রাফিক সুুপার আর দার্লং, পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, পূর্ত দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার (আর এণ্ড বি) রাজীব দেববর্মা, মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা মুসলেম উদ্দীন আহমেদ, টিআরটিসি-র এম ডি সজল বিশ্বাস ছাড়াও জেলা ও মহকুমা পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক, চিফ ভ্যাহিক্যাল ইন্সপেক্টর, সিনিয়র ভ্যাহিক্যাল ইন্সপেক্টর, ভ্যাহিক্যাল ইন্সপেক্টর ও অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন৷
পর্যালোচনা সভায় আকাশপথ, রেলপথ, সড়কপথ ও জলপথ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়৷ পর্যালোচনা সভায় পরিবহণ মন্ত্রী সুুশান্ত চৌধুরী বলেন, আগামীদিনে আগরতলা চিটাগাঙের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু করা হবে৷ স্পাইসজেট এর দায়িত্ব পেয়েছে৷ তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার৷ এ সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসার (ডা.) মানিক সাহার পথ ধরে এগিয়ে চলেছে৷ রাজ্য সরকার সর্বত্র পরিবহণ ব্যবস্থার সুুযোগ পৌঁছে দেবার উদ্যোগ নিয়েছে৷ টিআরটিসি এক মাসের মধ্যে পিক বাস চালু করবে৷ এতে মহিলা যাত্রীদের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ছাড় থাকবে৷
সভায় পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, মাতাবাড়ি, নারকেলকু’ এবং ভাংমুনে ৩টি হ্যালিপোর্ট নির্মাণ করা হবে৷ এজন্য দপ্তরকে ডিপিআর তৈরী করতে হবে৷ তিনি বলেন, রাজ্যে ৫২টি মোটর স্ট্যাণ্ড রয়েছে সেগুলিকে আধুনিকিকরণে সরকারের চিন্তাভাবনা রয়েছে৷ যান দুর্ঘটনা রোধে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে৷ তিনি বলেন, গত অর্থবছরে পরিবহণ দপ্তর বিভিন্ন খাতে মোট ১১৫কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে৷ চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এই দপ্তর ১২১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে৷ সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশানের মাধ্যমে আলোচনার সূচনা করেন পরিবহণ দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা৷ তিনি বিমানপথ, রেলপথ, জলপথ ও সড়কপথের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন৷ এছাড়া তিনি আগরতলা আখাউড়া রেলপথ, ৯টি ফ্লোটিং টার্মিনালস, ইন্টিগ্রেটেড রোড অ্যাি’ডেন্ট ডাটা বেইস, গোমতী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, ইনস্টিটিউট অব ড্রাইভিং, ট্রেনিং এণ্ড রিসার্চ, ট্র্যান্সপোর্ট কমিশনারেট, হ্যালিকপ্ঢার সার্ভিস, হীরাছড়ায় গ্রিণ ফিল্ড এয়ারপোর্ট, প্রি পেইড অটো/ ট্যাি’ ভাড়া, ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার, এনফোর্সমেন্ট ড্রাইভ, ইন্সপেকশন এণ্ড সার্টিফিকেশন, টিআরটিসি বাস ও ত্রিপুরা আরবান ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের বাস পরিষেবা নিয়ে আলোচনা করেন৷