আগরতলা, ৮ এপ্রিল (হি.স.) : সারা দেশের সাথে ত্রিপুরাতেও সত্যাগ্রহ আন্দোলনে নেমেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন কংগ্রেস নেতা- কর্মীরা। পোস্ট অফিস চৌমুহনীস্থিত কংগ্রেস ভবন থেকে সার্কিট হাউস গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যাওয়ার পথে রবীন্দ্র ভবনের সামনে তাঁদের আটকে দিয়েছে। ফলে পুলিশের সাথে কংগ্রেস কর্মীদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধ্বস্তাধ্বস্তির পর তাঁদের পুলিশ আটক করেছে। এ-বিষয়ে সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অজয় কুমার দাসের দাবি, মিছিলের অনুমতি ছিল না। তাই, আটকে দিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর সংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে সারা দেশে জয় ভারত সত্যাগ্রহের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। শনিবার ত্রিপুরাতেও ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এদিন প্রদেশ কংগ্রেস গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এক বিক্ষোভ ধর্ণার কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু পুলিশ রবীন্দ্রভবনের সামনেই পথ আটকে কংগ্রেস নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। এই নিয়ে পুলিশের সাথে কংগ্রেস কর্মীদের অল্প বিস্তর ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয়েছে। এদিন ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা সহ দলের কর্মী সর্মথকরা।
এদিন পিসিসি সভাপতি বীরজিৎ সিনহা বলেন, রাহুল গান্ধী ইস্যুতে ময়দানে লড়াই চালিয়ে যাবে কংগ্রেস। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্র করে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। তাই আগামী দিনে বিভিন্ন জেলায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা বলেন, জাতীয় কংগ্রেস জয় ভারত সত্যাগ্রহের ডাক দিয়েছে। তাঁর কথায়, একদিকে নিম্ন আদালতের রায়ের পর বিজেপি সরকার ষড়যন্ত্র করে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করেছে। অন্যদিকে, ত্রিপুরায় নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস বিজেপি পরিচালিত সরকারের মদতেই মাথা চাড়া দিয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিরোধী দলের কর্মী সর্মথকদের বাড়ি ঘরে আক্রমন চালাছে বিজেপি মদতপুষ্ট দুষ্কৃতিকারীরা। গোটা রাজ্যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। তাতে, মানুষ গনতান্ত্রিক অধিকার হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
আশীষ কুমার সাহা আরও বলেন, সরকার অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক মনোভাব নিয়ে বিরোধীদের দাবিয়ে রাখার চেষ্টা চালালেও তাতে কোনো লাভ হবে না। দেশের অর্থনীতিকে বিজেপি সরকার পঙ্গু করে দিচ্ছে, তা নিয়ে রাহুল গান্ধী মুখ খোলতে না পারে সে জন্যই ষড়যন্ত্র করে সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে বলে দাবি আশীষ কুমার সাহার।
এ-বিষয়ে সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অজয় কুমার দাস বলেন, কংগ্রেসের মিছিলের অনুমতি ছিল না। তবুও তাঁরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছে। তাঁদের ফিরে যাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু, পুলিশের আবেদনে সাড়া দেওয়ার বদলে তাঁরা বলপূর্বক মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছিলেন। তাই, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, জানান তিনি।