BRAKING NEWS

ই-প্রকিউরমেন্ট বাস্তবায়নে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সেরা ত্রিপুরা : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ এপ্রিল৷৷  কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এবং ইলেকট্রনিক ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে গত ২৭ মার্চ, ২০২৩-এ নয়াদিল্লীস্থিত ইণ্ডিয়া হ্যাবিটেট সেন্টারে ই-প্রকিউরমেন্টের ওপর আয়োজিত এক জাতীয় কর্মশালায় ত্রিপুরা রাজ্যকে ই-প্রকিউরমেন্ট বাস্তবায়নে উত্তর পূর্র্ব’লের রাজ্যগুলির মধ্যে সেরা পারফরমেন্সের জন্য পুরস্ক’ত করা হয়েছে৷ আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এই সংবাদ জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, গত ৫ বছরে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে উল্লেখযোগ্য কাজের স্বীক’তিস্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্যকে পুরস্ক’ত করা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ দপ্তরের সৌভাগ্য যোজনায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য রাজ্যকে পুরস্ক’ত করা হয়৷ ক’ষি, প’ায়েত স্বশক্তিকরণের ক্ষেত্রেও সেরা পারফরমেন্সের শিরোপা অর্জন করেছে রাজ্য৷ অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ই-প্রকিউরমেন্টের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে৷ এক্ষেত্রে অর্থ দপ্তরের সচিব থেকে শুরু করে দপ্তরের আধিকারিকদের তিনি ধন্যবাদ জানান৷ একই সাথে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা:) মানিক সাহাও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷
সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার প্রশাসনে স্বচ্ছতার উপর জোর দিয়েছে৷ সেই উদ্যোগের অংশ হিসাবে রাজ্য সরকার ’ডেলিগেশন অব ফিনান্সিয়াল রুলস অব ত্রিপুরা’ক্ষ্মএ ২৫ হাজার টাকার উর্দ্ধে দ্রব্য এবং পরিষেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে ই-প্রকিউরমেন্ট বাধ্যতামূলক করেছে৷ তিনি ই-প্রকিউরমেন্টের সুুবিধাগুলি তুলে ধরে বলেন, ই-প্রকিউরমেন্টে সরকারী বেচাকেনায় স্বচ্ছতা আসে এবং বিক্রেতাদের জোট গঠনের সুুযোগ থাকে না৷ ই-প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের কেনাবেচায় সাহায্য করে৷ সরকারী পণ্য এবং পরিষেবা বিক্রেতাগণের কর ফাঁকি দেওয়ার সুুযোগ থাকে না৷ দরদাতাদের সমস্ত তথ্য গোপন থাকার ফলে প্রক’ত দর নির্ধারণ সম্ভব৷ ই-প্রকিউরমেন্ট সিস্টেমে সরকারের খরচ কমানোর পাশাপাশি দেশের যেকোনো প্রান্তের বিক্রেতাগণ অংশগ্রহণ করতে পারেন৷ অর্থমন্ত্রী গত ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ এই তিন অর্থবছরে ই-প্রকিউরমেন্ট এবং জেম-এর মাধ্যমে টেণ্ডার এবং অর্ডারের সংখ্যা এবং তার সাথে জড়িত অর্থের তথ্য পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তুলে ধরেন৷ তিনি জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ই-প্রকিউরমেন্ট পোর্টালের মাধ্যমে ৯৮১৫টি টেণ্ডার করা হয়েছে৷ এতে অর্থের পরিমাণ ছিল ৭২৭১ কোটি টাকা৷ পাশাপাশি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২০২২-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জেম-এর মাধ্যমে ৩০৯৫টি অর্ডার করা হয়েছে৷ এতে অর্থের পরিমাণ ছিল ১০২ কোটি টাকা৷ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ই-প্রকিউরমেন্ট এবং জেমের মাধ্যমে বিডিং এবং টেণ্ডারের মোট মূল্য ৭৩৭৩ কোটি টাকা৷
সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী জানান, ত্রিপুরা রাজ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারিদের নিয়মিত পেনশন ব্যতিত সমস্ত লেনদেন ই-পেমেন্ট বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য সরকারের সফলতা কম্পট্রোলার এবং অডিটর জেনারেল (সিএজি) অব ইণ্ডিয়া-এর ২০২১-২২ অর্থবছরের স্টেট ফিনান্স অডিট রিপোর্টে প্রশংসিত হয়েছে৷ তিনি জানান, উল্লিখিত প্রতিবেদনে মোট লেনদেনের ৮০.১৩ শতাংশ ই-পেমেন্টের মাধ্যমে করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ তিনি জানান, সিএজি রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সমস্ত ৬৪টি কন্ট্রোলিং অফিসারক্ষ্মই প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের ১০০ শতাংশ হিসাব এজি (এ  ই)ক্ষ্মএর সাথে মিলিয়েছে৷ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজ্য সরকার বিচক্ষণতা ও অধিক মূলধনী ব্যয়ের সাথে আর্থিক ব্যবস্থাপনা খুব ভালভাবে পরিচালনা করেছে৷ তাছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রদেয় আর্থিক সুুযোগ সুুবিধা বাড়িয়েছে৷ যেমন কর্মচারি, পেনশন প্রাপক, ডিআরডব্লিও, অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী, আশা কর্মী, পার্ট টাইম কর্মী, পার্ট টাইম পাম্প অপারেটর ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রদেয় আর্থিক সুুযোগ সুুবিধা বাড়ানো হয়েছে৷ তিনি জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ ২৩৭৪ কোটি টাকা যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ১৪২৩ কোটি টাকা৷ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজ্যের বিভিন্ন নিজস্ব কর রাজস্ব আদায়ের পরিসংখ্যানও তিনি তুলে ধরেন৷ সাংবাদিক সম্মেলনে অর্থদপ্তরের সচিব বিজেশ পাণ্ডে এবং অতিরিক্ত সচিব আকি’ন সরকার উপস্থিত ছিলেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *