ভিয়েনা, ৩ এপ্রিল (হি.স.) : আশ্চর্যজনকভাবে দিনে ১০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা করেছে রাশিয়া ও সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলো। রফতানি করা দেশগুলোর এমন সিদ্ধান্তে এক লাফে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম বেড়েছে পাঁচ ডলার।
রবিবার এক ভার্চুয়ালি বৈঠক শেষে তেল রফতানি করা ২৩ দেশের সমন্বয়ে গঠিত ওপেক প্লাস উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণার পরের দিনই সোমবার বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেলপ্রতি সাত শতাংশ বেড়ে ৮৫ ডলার ছাড়িয়ে গেল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দাম যুদ্ধের আগের অবস্থায় ফিরে আসল, তখনই ওপেক প্লাস এ সিদ্ধান্ত নিলো।
ওপেক প্লাসের এ ঘোষণার পর পরই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এরই মধ্যে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬ ডলার বেড়ে ৮৫ দশমিক ৫৪ ডলার হয়েছে। ইউএস ক্রুডের দাম ৫ দশমিক ২২ ডলার বেড়ে হয়েছে ৮০ দশমিক ৮৯ ডলার।
এদিকে, বাজার স্থিতিশীল রাখতে রফতানিকারক দেশগুলোকে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে গত বছরও তেল-উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। যা ২০২০ সালের পর থেকে ছিল সর্বোচ্চ। এছাড়া ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন কমানোর এই হার ছিল বৈশ্বিক সরবরাহের প্রায় ২ শতাংশের সমান।
ওপেক প্লাসের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বাজারের অনিশ্চয়তার কারণে আমরা এই মুহূর্তে তেলের উৎপাদন কমানো যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি না।
তেল-উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশগুলো আলাদা করে উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। সে অনুযায়ী, সৌদি আরব প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল, ইরাক ২ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ১ লাখ ৪৪ হাজার ব্যারেল, কুয়েত ১ লাখ ২৮ হাজার ব্যারেল, আলজেরিয়া ৪৮ হাজার ব্যারেল এবং ওমান ৪০ হাজার ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে।
সৌদি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই পদক্ষেপটি তেল বাজারের স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করার লক্ষ্যে একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।