BRAKING NEWS

মুখ্যমন্ত্রী মাত্রপুষ্টি উপহার প্রকল্পে ৮,৩২৪ জন গর্ভবতী মহিলা আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ এপ্রিল৷৷ মুখ্যমন্ত্রী মাত্রপুষ্টি উপহার প্রকল্পে এখন পর্যন্ত রাজ্যের ৮,৩২৪ জন গর্ভবতী মহিলা আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন৷ এই প্রকল্পে প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলাকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ২ হাজার টাকা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হয়েছে৷ আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায় এ সংবাদ জানান৷ সাংবাদিক সম্মেলনে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে সচিব জানান, রাজ্যের মোট ৯,৯১১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৫৪ জন শিশু, ১৯,৯৫০ জন গর্ভবতী মহিলা এবং ১৬,২০৩ জন নার্সিং মায়ের নাম নথিভুক্ত রয়েছে৷ তাদের প্রত্যেককেই খিচুরি, ডিম সহ নানা পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হচ্ছে৷ তাছাড়া অতি অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের চিহ্ণিতকরণের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও আইসিডিএস সুুপারভাইজারদের মধ্যে ১০ হাজার ৭৩৫টি মার্টফোন দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও ৯,৯১১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গ্রোথ মনিটরিং ডিভাইস প্রদান করা হয়েছে৷
সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব জানান, পোষণ অভিযান প্রকল্পে রাজ্যের প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এলপিজি গ্যাস সংযোগ করা হয়েছে এবং ১,১১৭টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পানীয় জলের ব্যবস্থা ও ৩,৩৯২টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তিনি জানান, রাজ্যে নতুন আরও ২৩৪টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ এর মধ্যে ৪০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে ব পুনর্বাসন এলাকায়৷ ইতিমধ্যেই ১০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ব পুনর্বাসন এলাকায় চালু করা হয়েছে৷ তিনি জানান, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে বর্তমানে ৩৪টি সামাজিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে৷ এর মধ্যে ৩টি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে এবং ৩১টি রাজ্য সরকারের প্রকল্পে৷ রাজ্যে বর্তমানে মোট ভাতা প্রাপকের সংখ্যা হচ্ছে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ২২৭ জন৷ তাদের প্রত্যেককেই ২ হাজার টাকা করে ভাতা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছানো হয়ে থাকে৷ এছাড়াও রাজ্য সরকার ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক সহায়তা প্রকল্প নামে নতুন একটি পেনসন স্কিম চালু করেছে৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন আরও ৩০ হাজার সুুবিধাভোগীকে ২ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে৷ সচিব আরও জানান, কোনও পরিবারের একমাত্র উপার্জনাকারী ব্যক্তির মৃত্য হলে ন্যাশনাল ফ্যামিলি বেনিফিট স্কিমে এককালীন ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়৷ এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত রাজ্যের ৫০৬টি পরিবার এই সহায়তা পেয়েছেন৷
সচিব সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব আরও জানান, রাজ্যের মহিলাদের আইনী সহায়তা, স্বাস্থ্য ও মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে দপ্তরের মাধ্যমে ৮টি জেলাতেই একটি করে ওয়ান স্টপ সেন্টার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ এই সেন্টারগুলি ২৪অ৭ পরিষেবা প্রদান করবে৷ এছাড়াও মহিলাদের সুুরক্ষা প্রদান, তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে রাজ্যে উইমেন হেল্পলাইন ১৮১ চালু রয়েছে৷ তিনি জানান, রাজ্যে বর্তমানে ৪টি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে৷ এর মধ্যে ১টি সরকার পরিচালিত এবং ৩টি এনজিও’র মাধ্যমে পরিচালিত৷ বৃদ্ধাশ্রমগুলিতে বসবাসকারী ১৩৪ জন প্রবীণ নাগরিককে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে৷
সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব জানান, শিশু কল্যাণে রাজ্যে বর্তমানে ৪১টি চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউশন চালু রয়েছে৷ তাতে মোট ৯৩৫ জন শিশুকে নানা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে৷ এছাড়াও শিশুদের বিভিন্ন সুুযোগ সুুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে রাজ্যের ৮টি জেলাতেই শিশু কল্যাণ কমিটি চালু রয়েছে৷ তিনি জানান, জভেনাইল জাস্টিস ফাণ্ডের মাধ্যমে শিশুদের স্বাস্থ্য সহ অন্যান্য সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ৫০ হাজার টাকা ও ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদানের সুুযোগ রয়েছে৷ এই ফাণ্ডের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১৫৪ জন শিশু উপক’ত হয়েছে৷ তিনি জানান, রাজ্যের প্রত্যেক দিব্যাঙ্গজনকে ইউনিক আই কার্ড প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দপ্তর কাজ করছে৷ এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৯১টি ইউনিক আই কার্ড তৈরী করা হয়েছে৷ সাংবাদিক সম্মেলনে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা এল রাংচল উপস্থিত ছিলেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *