‘টলিউডের ৯৯ শতাংশই দুর্নীতিগ্রস্ত’,দুর্নীতি যোগ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক হিরণ

মেদিনীপুর, ২৬ মার্চ (হি.স.) : টলিউড-দুর্নীতিযোগ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় । ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব (দীপক অধিকারী),তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ এবং অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ। দেবকে বিঁধে তাঁর বক্তব্য, এনামুল হকের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। তাঁর কথায় বাচ্চা ছেলে বনিও দুর্নীতিগ্রস্ত।

দুর্নীতি ইস্যুতে তপ্ত রাজ্য। নিত্য শাসকের নাম জড়িয়ে যাওয়া দেখতে অভ্যস্ত বাংলা। তাতে আবার চরম গ্ল্যামার যোগ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে উঠে আসছে একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর নামও। দুর্নীতিতে টলিউড যোগের একাধিক তথ্য ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। তাতে নবতম সংযোজন বনি। এবার টলিউড-দুর্নীতিযোগ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন খড়্গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক তথা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় । রবিবার চন্দ্রকোণায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন হিরণ। সেখানে তাঁকে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুর্নীতি ইস্যুতে গ্ল্যামার যোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড নিয়ে আগেও আমি ঘাটালে বলেছিলাম। আপনাদের এখানকার সাংসদ দীপক অধিকারী, তিনিও দুর্নীতিতে ভীষণভাবে যুক্ত। তিনি ৫ কোটি টাকা এনামুল হকের কাছ থেকে নিয়েছিলেন। তখন দেবের ফ্যানরা আমার ওপর রাগ করেছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “বনি সেনগুপ্তের মতো ছোট্ট একটা বাচ্চা ছেলেও, সবেমাত্র অভিনয়ে এসেছে, সেও কীভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূলের যাঁরা যাঁরা রয়েছেন, সায়নী ঘোষ, তাঁর সম্পর্কে তো বিচারপতিও বলছেন। তিনি কীভাবে একটার পর একটা ফ্ল্যাট বানিয়েছেন। কার টাকায় বানিয়েছেন। শ্রীকান্ত মেহতা, যিনি সব থেকে বড় প্রডিউসার, তিনি কত বড় দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন, কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছেন, চুরি করেছেন, জেলও খেটেছেন ২ বছরের ওপর। টলিউডের ৯৯ শতাংশ প্রডিউসর, ডিরেক্টর অভিনেতারা কোনও না কোনওভাবে পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষভাবে চোরেদের সরকারের সঙ্গে যুক্ত।”

দেবকে নিয়ে এর আগে একাধিকবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন হিরণ। গরুপাচার-কাণ্ডে সিবিআই এবং ইডির জেরার মুখে পড়তে হয়েছে দেবকে। সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে হিরণ বলেছিলেন, “মাননীয় সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব এনামুল হকের থেকে টাকা নিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে ছবিও বানিয়েছেন। সেই কেসে যদি দোষী সাব্যস্ত হন, যদি তাঁকে জেলে হয়, তাহলে আমার সবথেকে দুশ্চিন্তা থাকবে মিঠুন দা’কে নিয়ে।” উল্লেখ্য, প্রজাপতি সিনেমা মুক্তির সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে একথা বলেছিলেন হিরণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *