অনাদরে অবহেলায় পর্যটন ক্ষেত্রের মর্যাদা হারাচ্ছে খাওড়াবিল

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ মার্চ৷৷ রূপ যৌবন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পর্যটন৷ তবুও কোথাও যেন সরকারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে ৷ এই চিত্র কৈলাসহরের খাওড়া বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের জলাশয়টির৷ কৈলাসহরের খাওড়া বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের শতবর্ষ পুরনো চৌদ্ধ দেবতার মন্দিরের পূর্ব দিকের ভূমিতে ২০০০ সালে মৎস্য চাষে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য প্রায় ৭০ টি পরিবারকে নিয়ে সমিতি গঠন করেছিলেন তৎকালীন ত্রিপুরা সরকারের টিসিএস অফিসার তথা কৈলাসহরের ভূমিকন্যা শ্যামলীমা ব্যানার্জি৷ এই খাওরাবিল পঞ্চায়েতেই ছিলেন মহারাজ ইন্দ্র মানিক্য৷ এখানেই তিনি অস্থায়ী রাজবাড়ী নির্মাণ করেছিলেন৷ যার কিছুটা ভগ্ণাবশেষ এখনো রয়ে গেছে৷ আজও সেই  স্থানে বিশালাকার রাজার দিঘী রয়ে গেছে৷ মহারাজ ইন্দ্র মানিক্য কৈলাসহরের খাওরা বিল থেকেই তিনি রাজত্ব শাসন চালিয়েছিলেন বেশ কিছুটা সময়৷ ২০০০ সালে শ্যামলীমা ব্যানার্জি যে ৭০ টি পরিবারকে নিয়ে সমিতি তৈরি করেছিলেন তার রেজিস্ট্রেশন হয় ২০০২ সালে৷ এরপর সেই জায়গায় ভূমি খনন করে ২০০ কানি জায়গার উপর গড়ে তোলা হয় মৎস্য চাষের জন্য বিশাল আকার জলাশয়৷ পরবর্তী সময় বেশ কিছু জায়গা কিছু সমস্যার জন্য বিভিন্ন কাজে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ বর্তমানে জলাশয়টি ১৭০ কানি জমির উপর রয়েছে৷ তারপর থেকে সমিতির লোকেরা প্রত্যেক বছর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার জন্য সরকারের কাছে গেলেও মৎস্য চাষের উপযোগী সামগ্রী ছাড়া তেমন কিছু সুবিধা তারা পায়নি৷ বর্তমানে ৭০ জন থেকে বেড়ে সংখ্যাটি গিয়ে একশয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে৷ দুর্লভ রাম নম  জানান  কয়েক বছর পূর্বে শোনা গিয়েছিল সরকার এই স্থানকে পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার জন্য মৎস্য চাষের পাশাপাশি এই জায়গায় স্পিড বোর্ড সহ পর্যটকদের আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন জিনিস এই জায়গায় তৈরি করবেন৷ কিন্তু আজ অবধি সেই জায়গাকে পর্যটন ক্ষেত্রে উন্নীত করার জন্য সরকার উদাসীন ভূমিকায় রয়েছে৷  এক কথায় বলা যায় বিষয়টা বর্তমানে এমন জায়গায় রয়েছে রূপ যৌবন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পর্যটন তবুও কোথাও যেন সরকারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে৷ তবে বর্তমান জেলাশাসক ডা: বিশাল কুমার কৈলাসহরের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক৷ জানা গেছে কিছুদিনের মধ্যে সমিতির সদস্যরা জেলাশাসকের দ্বারস্থ হবেন খাওরাবিলের উন্নয়নের জন্য৷