বীরভূম, ২১ মার্চ (হি. স.) : হিন্দু ভোট ও সংখ্যালঘু ভোটের পরিসংখ্যান দিয়ে বগটুইকাণ্ড-সহ একাধিক ইস্যু টেনে শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার বগটুইকাণ্ডের এক বছর পার হল। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নেমেছে বাম-বিজেপি। একদিকে শুভেন্দুবাবুর নেতৃত্বে মৌন মিছিল, অন্যদিকে সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে মৌন মিছিল বামেদের। বগটুইয়ে শুভেন্দুবাবুর মঞ্চে দেখতে পাওয়া যায় স্বজনহারা মিহিলাল শেখকেও। হিন্দু ভোট ও সংখ্যালঘু ভোটের পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূলকে তুলোধোনা করার চেষ্টা করেন বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের হিংসাকাণ্ডগুলির মধ্যে অন্যতম বগটুইকাণ্ড। যা নিয়ে ঘটনার দিন থেকে একের পর এক তথ্য এসেছে। যেখানে রাজ্যের তরফে এসটিএফ-র তদন্তভার বদলের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিকে যেতেই ৩৬০ ডিগ্রি মোড় ঘুরতে দেখা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, প্রকাশ্যে আসা কোন তথ্যটা প্রকৃত সত্য ?
পেট্রোল পাম্পের বিষয় থেকে ওই দিনের দিন পুলিশ স্টেশনের দায়িত্বে কেকে ছিলেন, সবই দাঁড়িয়েছে প্রশ্নের কাঠগড়ায়। ‘চুনোপুঁটিদের না ধরে কবে ধরা হবে রাঘব বোয়ালদের? ‘ এমন প্রশ্ন উঠেছিল, বগটুইকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারের পর। রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণ ইস্যুতেও তদন্তকেও ‘প্রভাবিত’ করা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। বগটুইকাণ্ডের এক বছরের মাথায় দাঁড়িয়ে, পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে শুভেন্দুবাবুর মূল বক্তব্য, তিনি হিন্দু ভোটে জয়ী হয়েছেন।
তাই নন্দীগ্রামে একুশের বিধানসভা নির্বাচন, আনিসকাণ্ড, নৌশাদ সিদ্দিকির প্রসঙ্গ-সহ সাধারণ মানুষের দিকে একের পর এক ঘটনা মনে করিয়ে, কাকে দিয়ে ভোট দিয়ে, ঠিক কি প্রতিফলন এল— কড়া বিশ্লেষণের মুখে রাখলেন শুভেন্দুবাবু। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কথা মনে করিয়ে বললেন ভারতীয় জনতা পার্টি সকলের সঙ্গে আছে। এদিন তাঁর অন্যতম সংযোজন, ‘বগটুইগ্রামে বিজেপির কোনও ভোট নেই।’ তাই ভোটের আগের তার এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।